পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ)θωθο *. সিরাজদ্দৌলা মীরগ। মিথ্যা কথা, অর্থ গোপনে রেখেছ । ঘসেট। কি মীরণ, আমার মিথ্যাবাদী বলছ ? আমার অর্থ-সাহায্যে তোমরা কৃতকাৰ্য্য হয়েছ, আমার অর্থ-সাহায্যে সৈন্যগণ সিরাজের পক্ষ ত্যাগ ক’রে তোমাদের পক্ষ হয়েছ,~—নচেৎ কি ভাব, তোমাদের জয়লাভ হ’তো ? আমার প্রতি তোমার এইরূপ দুৰ্ব্বাক্য ! তুমি অতি হীন, তাই বলছ আমি মিথ্যাবাদী, তাই তোমার অস্তরের অনুরূপ আমার অন্তর দেখছে ! মীরণ । ঘসেট বেগম, খুব কথার ছটা ! এখন বুঝলেম তোমার সাহায্যে সিরাজ পলায়ন করেছে। রাজপুরে সিমাজের প্রহরী থাকা তোমার উচিত ছিল, সে কাৰ্য্য তুমি করে নি। তুমি বন্দী, নবাব মীরজাফরের প্রতি বিদ্রোহ আচরণ করেছ, কারাগারে অবস্থান করে, যন্ত্রণায় গুপ্ত অর্থ প্রদান করবে । যাও—বন্ধন দশায় একে কারাগারে নিয়ে যাও । (সৈনিকদ্বয়ের ঘসেটা বেগমকে বন্ধন করিয়া গমনোদ্যম বসেট । মীরণ, মীরণ, আমায় বন্দী করো, কিন্তু এখনি সিরাজের অমুসরণ করে ;–সিরাজ কোথায় দেখো, নচেৎ নিশ্চিন্ত হ’তে পারবে না । মোহনলাল সিরাজের অনুসরণ করেছে, সে কোথায় দেখো, সে পরম শক্র, সে জীবিত থাকৃতে তোমাদের শাস্তি নাই । মীরণ । যাও নিয়ে যাও— ঘসেটা বেগমকে লইয়। সৈনিকদ্বয়ের প্রস্থান লুৎফউন্নিসা, বড় আশায় এসেছিলেম । এই পাপীয়সীর অসতর্কতাতেই লুৎফউন্নিসা পলায়ন করেছে। কোথায় যাবে, চতুদিকে দূত প্রেরণ করেছি, যেথায় যাক—পুরস্কার-আশায় কেউ না কেউ তারে বন্দী করবে। প্রস্থান