পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

গমনোদ্যত নবাব-সম্মুখে তস্‌বির হস্তে জহরার প্রবেশ

সিরাজ। কে তুমি?
জহরা। নবাবের নিকট এই ভেট এনেছি।
সেলাম করিয়া আচ্ছাদিত তস্‌বীর প্রদান
সিরাজ। কে পাঠিয়েছেন?
জহরা। এই পত্রে প্রকাশ আছে।
সিরাজ। তোমায় কি কোথাও দেখেছি?
জহরা। আমি জনাবের নিকট পরিচিতা। ইতিপূর্ব্বে নিবেদন করেছি, আমি সর্ব্বত্রগামিনী—নবাব দর্শনাকাঙ্ক্ষিণী।
পত্র প্রদান পূর্ব্বক জহরার প্রস্থান
সিরাজ। (পত্র পাঠ করিয়া) পত্রবাহিকা কোথায়?
লুৎফ। চলে গিয়েছে।
সিরাজ। অদ্ভুত পত্র!—শোনো—(পত্র পাঠ)

 “জনাব, যদিচ দাসীর মৃত্যু রটনা হইয়াছিল, দাসী জীবিতা। সমাজ-তাড়নায় দাসী রাজপুরে উপস্থিত হইয়া নবাবসেবার অধিকার পায় নাই। প্রার্থনা, দাসীর অনুরূপ এই তস্‌বির নবাবের শয়ন-গৃহে স্থান পায়। দাসীর নাম তস্‌বিরের নিয়ে দেখুন।”

(তস্‌বিরের আবরণ খুলিয়া) একি!—“তারা”—তারাই বটে, (লুৎফউন্নিসার প্রতি) প্রিয়ে, তুমি এ তস্‌বিরবাহিকাকে কখনো দেখেছ?
লুৎফ। না প্রভু।
সিরাজ। জেনো এ শত্রু। এ পত্র জাল,—আমি জলভ্রমণকালীন রাণী ভবানীর কন্যা তারাকে দর্শন ক’রে, তাঁর প্রতি আসক্ত হই।