পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
সিরাজদ্দৌলা
কৃষ্ণ। সে কি সাহেব! আপনি আমার আশ্রয়দাতা, আপনারা না আশ্রয় দিলে, নবাব হয়তো প্রাণবধ ক’র্‌তো।
ড্রেক। সেই নিমিত্ত তোমার বাবা হামাদের বিরুদ্ধে নবাবকে সঙ্গে আনিতেছে।
কৃষ্ণ। সাহেব, সে কি কখন হয়? এই মিথ্যা সংবাদ আপনাকে কে দিয়াছে?
ড্রেক। উমিচাঁদের প্রতি এই রামরাম সিংয়ের চিঠি পাঠ করো। (পত্র প্রদান করিয়া) বড় আওয়াজে পাঠ কর।
কৃষ্ণ।
(পত্র পাঠ)
“সময় থাকিতে কলিকাতা হইতে সরিয়া পড়ুন। নবাব সসৈন্যে কলিকাতা অভিমুখে যাত্রা করিয়াছেন। এবার ইংরাজের আর রক্ষা নাই। মীর জাফর, রায়দুর্লভ, রাজবল্লভ প্রভৃতি সেনানায়কগণ নবাব-সৈন্য পরিচালনা করিতেছে।”
ড্রেক। বস্ করো। Rascal, what have you got to say now? তোমার বাবা হামাদিগকে মারিতে আসিতেছে আর তুমি হামাদের চক্ষু বন্ধ করিবার নিমিত্ত বলিতেছ,—তোমরা হামাদের দুশমন নও।
কৃষ্ণ। সাহেব, আমি সত্য বল্‌ছি, আমি কোন সংবাদ অবগত নই।
হল। চোপ্‌রাও you sooty devil. The fiend উমিচাঁদের হাল এখনি দেখিবে। দুইজনে কারাগারে যাইয়া সল্লা করো।

উমিচাঁদকে ধৃত করিয়া সৈনিকদ্বয়ের প্রবেশ

ড্রেক। Ah! here you are. Good morning উমিচাঁদ! তোমার দোস্তকে দেখিতেছ? দুইজনে মিলিয়া কলিকাতা হইতে যাইবে, আমরা তোমাদের ঘোড়ার ডাক বসাইয়া দিবে।