জন্মাইতা গড়ের উপরে নানা স্থানে বৃক্ষরাজির পাদমূলের অন্তরালে ক্ষুদ্র ও বৃহৎ তোপ সাজিত ছিল । এতদ্ব্যতীত বনের নানা স্থানে অদৃশ্য ভাবে তোপ সজা ছিল। বনের মধ্যে মৃত্তিকার নীচে কয়েকটি পাতালপুরী বা গুণ্ড-কক্ষ ছিল। এই সমস্ত পাতাল-গৃহে নানাবিধ যুদ্ধের উপকরণ, লুষ্ঠিও সামগ্ৰী এবং ধন-ভাণ্ডার সংস্থাপিত ছিল। এই গোপনীয় গুহাবলীর একটি প্ৰশন্ত এবং অধিকতর রমণীয় গুহাতে ললনাকুল ললাম-ভূত এক ষোড়শী রূপসী রূপের ছটায় কক্ষ আলোকিত করিয়া একখানি পালঙ্কোপরি অর্ধহেলিত অবস্থায় অবস্থিত! রমণীর ঈষৎ কুঞ্চিত সুচিকুণ ঈষনীলাভ কেশকলাপ ললাট এবং গণ্ডে পতিত হওয়ায় তাহার মুখখানি শৈবালে ঈষদাচ্ছন্ন প্রভাত-প্ৰস্ফুটিত কমলের ন্যায় অথবা মেঘ-কিীট-চন্দ্ৰমার ন্যায় শোভা পাইতেছে। সে মুখের ও চক্ষুর ছটায় তেজন্বিতা, দৃঢ়তা এবং পবিত্রতার আভাই কেবল বিকীর্ণ হইতেছে। গৃহস্থিত প্ৰদীপের আলোক, রমণীর বিশ্ববিমোহন রূপের ছটায় যেন মলিন বলিয়া প্ৰতীয়মান হইতেছে। উন্নত বিশাল বক্ষ শ্বাস-প্ৰশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে বাত্যাহতা স্বকীতবাক্ষা তরঙ্গায়িত পদ্মার ন্যায় ক্ষণে ক্ষণে উন্নত এবং অবনত ROCA রমণীর নেত্রীকৃবলয়ের প্রশান্ত এবং স্থির দৃষ্টি হইতে উন্নত চিন্তার ইঙ্গিতই DDBD DBDLDSSSDtDBD DDDS LDuDS DBBB LD BDBBtDEK সৌন্দৰ্যশালিনী হইলেও, তাহকে দর্শন করিয়া কাম-গান্ধী প্রেমের উদ্রেক না হইয়া সশস্ত ভালোবাসারই সঞ্চার হয় । রমণী অলৌকিক সুন্দরী। তাহৱে মুখমণ্ডলে তরুণ অরুণের অরুণিমা, নয়নে বর্ষণ-মুক্ত শারদাকাশের নীলিমা, গঠন-বৈচিত্র্যে কারু-কৌশলের অপূর্ব মহিমা পরিদৃশ্যমান! রমণী নির্বাতি সমুদ্রের জলরাশির ন্যায় তরল সৌন্দর্যে ভরপুর হইয়াও আচঞ্চল! সুতরাং, তাহাকে দর্শন করিলে আনন্দ এবং শ্রদ্ধারই উদ্রেক হয়। সে সৌন্দৰ্য—সে লাবণ্য কেবল কবিত্বময়, রসময় এবং আনন্দময়! তাহাতে স্বপ্নের আবেশ এবং মদিরার বিহ্বলতা নাই, তাহা স্পষ্ট, মুক্ত এবং ব্যক্তি; সুতরাং সহসা তাহাতে মনশ্চাঞ্চল ঘটে না । প্রিয় পাঠক-পাঠিকা! এই গাঁৱীয়সী সুষমা-সম্পন্ন মহিমময়ী রমণী আমাদেরই সেই মালেকা আমেনা বানু। রমণী অর্ধশাৱিতাৰস্থায় বাম হস্ত ৰাম কপোলে রাখিয়া দক্ষিণ হন্তে “দেওয়ান হাফেজ- ধারণ করিয়া পড়িতেছিলেন। এমন সময় শিবাজী তথায় আসিয়া একাকী উপস্থিত হইলেন। ম্যালেকা আমেনা তখন অন্যদিকে মুখ ফিরাইয়া বসিলেন। শিৱাজী দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাল OR
