পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

LESED DDD BGL S DEEB BiBD DBBD DDDBLSS ES গগনের নীলকান্ত মণির ন্যায় নির্মলণ্ডাৰে চন্দ্ৰকলা নববধূ-সীমান্তে সুবর্ণ তিলকের ন্যায় শোভা পাইতেছে। কি বিচিত্র এবং মনোহর দৃশ্য! নিন্তব্ধ। রজনীতে নির্মল আকাশে চন্দ্ৰকৌমুদীর বিকাশে দিঘলয় যেন স্মিত হাস্য করিতেছে। লক্ষ্ণৌ-এর নূৱবাণ নামক বিরাট শাহী-বাগানে কত যে বিচিত্র জাতীয় পুষ্পরাজি প্রস্ফুটিত হইয়া কবি-চিত্তসম্বোহিনী অপূর্ব শোভার বাজার খুলিয়াছে, কে তাহার বর্ণনা করিবে? এই বিরাট উদ্যানের মধ্যে ভাস্কর কলার আদর্শস্বরূপ রমণীয় ও বিখ্যাত নূর মািজল’ নামক প্রাসাদে নিতৃত দরবার বসিয়াছে। একপার্থে নবাব সুজা-উদ্দৌলা, মন্ত্রী এবং সেনাপতি, অন্যপার্থে নাজীব-উদ্দৌলা এবং দোররানী সেনাপতি তাহের খান সমাসীন। অন্যদিকে চিকের আড়ালে বেগম এবং নবাব-মাতা আজাদীবানু। বেগম সমাসীনা। বিরাট কক্ষ নীরব ও নিন্তব্ধ। কেবল পুষ্পগন্ধবাহী সমীরণ প্রাসাদের মুক্ত কক্ষের ভিতৃত্ব দিয়া ফুরফুর করিয়া সূক্ষ্ম তঞ্জেবের পর্দা উড়াইয়া প্রবাহিত হইয়া is উজ্বল আলোকরশ্মিপাতে প্রাসাদ-প্রাচীরের মণিমুক্তার কারুকার্যগুলি দৰ্প দপ্ত করিয়া জুলিতেছে। প্রাসাদের বিশাল কক্ষ নানা আকারের ঘটিকাযন্ত্র, স্বর্ণ ও রৌপ্যেৱ মণিমুক্তাখচিত পুষ্পবৃক্ষে ও ফলবৃক্ষে যার-পর-নাই। রমণীয়ভাবে সুকৌশলে সজ্জিত। পুষ্পে পুষ্পে হীরক খচিত কত চিত্র-বিচিত্ৰ প্ৰজাপতি, মীেমাছি ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পক্ষী। মরিঃ মরি! কিবা মনোহর গঠনপ্রণালী। কি মনোহর হীদ ও ভজুিমা। সৌন্দর্যের সহিত কলাকৌশলের অপূর্ব সন্মিলনা দেখিলে সহসা স্বভাবসৃষ্ট বলিয়াই মনে হয়। কক্ষের সেই রমণীয় কৃত্ৰিম পুস্পকুঞ্জের মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গোলাপের উৎস উৎসারিত হওয়ায় দৃশ্য আরও চিত্তাকর্ষক এবং কৌতুহলোদ্দীপক হইয়াছে। চতুর্দিকে এইরূপ পুষ্পপুঞ্জের মণ্ডল কুজ; মধ্যস্থলে বসিবাৱ জন্য বিচিত্র কারুকার্যময় কুর্সি, সোফা ও তখত! আলোকছটায় সমান্তই জ্বল জ্বল করিয়া সৃলিতেছে। প্রথম দর্শনেই লক্ষ্মেীর দেবদুর্লভ ঐশ্বৰ্য ও ত্ৰিলোকমোহন বিলাসের জাকের প্রভাব স্পষ্টভাবেই উপলব্ধি হয় । এ হেন দরবারগাহে সকলেই মৌৰী।। সকলেই কি যেন গভীর ও গুরুতর বিষয়ের ভাবনায় গুরুগম্ভীর ও ধীর । 始 সহসা নিঃশব্দতা ভাঁজ করিয়া নৰাৰ সুজা-উন্ধেীলা নাজীৰ-উদ্দৌলার দিকে চাহিয়া বলিলেন। ৫ মেহেরবান ভ্ৰাতঃা ব্যাপার বড়ই গুরুতর। আমি মারাঠীদিগের সহিত মিত্রতাসূত্রে আবদ্ধ আছি। এক্ষণে কেমন করে আহমদ শাহ্ আবদালীয় পক্ষাবলম্বন করি। মারাঠিগণ মুসলমানেৰ শত্ৰু, তা আমি দীকার করি; কিন্তু মারাঠিগণ। আজ পর্যন্ত আমার রাজ্যে কোনও উৎপািত ও লুণ্ঠন করে নাই। তাদের .