পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহাদিগোৱ গতি অবরুদ্ধপ্ৰায় করিয়া ফেলিল। কিন্তু এমন সময় মুসলিম গোলমাজেদিগের অব্যাথ নিশানায় সদাশিব রাওয়ের পরিচালিত অশ্বারোহী সৈনিকবৃন্ম তবলী পারদেৱ ন্যায় চঞ্চল ও উচ্ছঙ্খল হইয়া পড়িল! এ সময় একদল রোহিলা গাজী মুক্ত কৃপাণকরে। সদাশিব রাওয়ের বিক্ৰান্ত সাদীগণের উপরে সহসা আপতিত হইয় তাহদের ধ্বংস সাধন করিতে লাগিল । ৫০ জন গাজী প্ৰায় ৮ শত মাৰাঠী সাব্দীকে নিপাত করিয়া নিজেরা মাত্র ১৫ জন শহীদ হন । ইহারা দীর্ঘ দুধারবিশিষ্ট তরবাবি এমন বিদ্যুদ্বেগে ঘুরাইতে অভ্যন্ত ছিলেন যে, বন্দুকের গুলী এবং তীর ইহাদেব তরবারিতে প্ৰতিহত হইয়া ছিটুকিয়া পড়িত। সদাশিব রাও হিংস্র ব্যান্ত্রের ন্যায় ভীষণতেজা গাজীদিগের দুর্বিসহ পরাক্রম দেখিয়া বিক্ষিত এবং স্তজিত হইলেন । নজীব-উদ্দৌলা একদল বর্শাধারী সৈন্য লইয়া মারাঠী পদাতিকদিগকে আক্রমণ করিলেন। উভয়পক্ষে ভীষণভাবে যুদ্ধদান করায় যেন প্ৰলয়কাও বাধিয়া গেল। বর্শাধারী মুসলিম বীরগণ মারাঠী পদাতিকদিগকে বহুলভাবে হত্যা করিয়াও সংখ্যার অল্পতা নিবন্ধন জয়লাভে সমর্থ হইলেন না। নজীব-উদ্দৌলা এবং মহাদেব পাণ্ডের মধ্যে ভয়ানক দ্বৈরথ যুদ্ধ আরম্ভ হইল। বর্শাযুদ্ধ করিতে করিতে উভয়ের বর্শাই ভাঙ্গিয়া গেল। অতঃপর তরবারি লইয়া মারাঠী ও মুসলিম বীর ছয় শৌর্যবীর্যের বিপুল পরিচয় প্ৰদান করিলেন। ভীষণ তরবারি অনবরত লৌহ-ঢালে পুনঃ পুনঃ প্ৰতিহত হওয়ায় অগ্নিস্ফুলিঙ্গ বিকীর্ণ হইতে লাগিল। মহাদেব পাণ্ডে ক্রুদ্ধ মহিষের ন্যায় নিতান্ত উত্তেজিত এবং অধীর হইয়া নাজীব-উদ্দৌলার স্কন্ধ-লক্ষ্যে আসি প্ৰহার করিলেন। কিন্তু বীরকুলোত্তম নাজীব-উদ্দৌলা সুকৌশলে বিপুল শক্তিতে সে আঘাত ঢালে উড়াইয়া দিলেন। মহাদেব পাণ্ডের তরবারি প্রচণ্ডভাবে প্ৰতিহত হইয়া ভগ্ন হইয়া ლით 1 মারাঠী সেনাপতি তরবারিাহীন হইয়া নিতান্ত পেরেশান হুইয়া পড়িলেন, কারণ পাণ্ডের কাছে আর দ্বিতীয় তরবারি ছিল না। প্রতিদ্বন্দ্বীকে পেরেশান দেখিয়া নজীব-উদ্দৌলা স্বকীয় অশ্বজিন-বন্ধ আর একখানি তরবারি লইয়া পাণ্ডেকে অর্পণ TBB DBBSDDDDS DDDS DBDLD DDBDB DSDBBDD BMBB uBB কখনও আক্রমণ করে না। আপনার যুদ্ধসাধ থাকলে আপনি এই তরবারি নিয়ে যুদ্ধ করতে পারেন।” শক্রির মহানুভবতা দেখিয়া মহাদেব পাণ্ডে মুণ্ড এবং বিস্থিত হইলেন। কৃতজ্ঞতাজড়িত বাম্পাবারুদ্ধ কণ্ঠে বলিলেন, “আপনি ধন্য, আপনার ন্যায় বীর ও মহানুভব পুরুষ-প্রবারের সাথে যুদ্ধ করে জন্ম ও জীবন সার্থক হল। আর দ্বৈরথ যুদ্ধের প্রয়োজন নাই। নিজ নিজ সৈন্যবল নিয়ে যুদ্ধ করাই সঙ্গত। আপনি আমাকে মেহেরবানী করে আপনার অযোগ্য দোসত বলেই মনে রাখবেন। সুযোগ পেলে এ উদারতার কৃতজ্ঞতা দানে কুষ্ঠিত হব না।”