বন্ধ বিলীণ করব।” প্ৰতাপ বলিল, “আমি ত্বৰ্ণময়ীর কোন সংবাদই অবগত নহি, অকাৰণে আমাকে বধ কৱে না ।” চতুর্দিক হইতে সহস্র কণ্ঠে ধ্বনিত হইল, “কি? এখনও প্রবঞ্চনা? মারুন শযতানকে ৷” ঈসা খাঁ এইবার বর্ষা আরও দৃঢ়মুষ্টিতে উর্ধে উঠাইলেন। এমন সময়ে এক ব্যক্তি অশ্বের দাপটে চতুর্দিক শব্দায়মান করিয়া শ্বেত পতাকা হন্তে “থামুন। থামুন!” বলিয়া উচ্চৈঃস্বরে চিৎকার করিতে করিতে নক্ষত্র-গতিতে ঈসা। খাব নিকটবতী হইলেন। ঈসা খা সকলকে পথ ছাড়িয়া দিতে বলিলেন। অশ্বারাঢ় ব্যক্তি ঈসা খাকে কুর্ণিশ করিয়া বলিলেন, “হুজুর! প্রকৃত অপরাধীকে আমি বন্ধন করে এনেছি। যশোহান্নাপতি স্বৰ্ণকে হরণ করেন নাই, সুতরাং তাকে দণ্ড প্ৰদান করবেন না।" ঈসা খাঁ আগভুকের সন্ত্রান্ত এবং তেজোব্যাজক মূর্তি দেখিয়া তাহাকে কিয়াৎক্ষণ বিশ্ৰাম করিতে বলিয়া প্ৰতাপাদিত্যকে রাজবন্দীরূপে রক্ষা করিতে কর্মচারীদিগকে আদেশ দিলেন! সুচতুর পাঠক বোধহয় বুঝিতে পারিয়াছেন যে, এই আগন্তুক মাহতাব খাঁ । প্ৰতাপের পরাজয়ে রাজা কেদার রায় পরম আনন্দে ও উল্লাসে ঈসা খাকে অভ্যর্থনা করিয়া রাজপ্রাসাদে লইয়া গেলেন। দুঃখ-দুর্ভাবনা-পীড়িত শ্ৰীপুরে আবার নব আনন্দ ও নবী ফিকরিয়া আসিল । নাহৰতে নহব বিজয়-বাজনা বাজিতে লাগিল। নগরবাসীরা পত্র, পল্লব, লতা, পুষ্প, কদল বৃক্ষ ও পতাকায় নগর সুশোভিত করিলেন। নানা স্থানে উচ্চ উচ্চ তোরণ নির্মিত ও গীতিবাদ্য হইতে লাগিল। কেদার রায় বিপুল আড়ম্বরে ঈশী খাঁ ও তাঁহার সৈন্য-সামুন্তকে ভোজ প্রদানের জন্য বিপুল আয়োজন করিতে লাগিলেন। এদিকে লোকজন ও বাহক যাইয়া মাহতাব যার নীেক হইতে আহত কাপালিক এবং বন্দী হেমন্দাকে লইয়া আসিল! পাষ্ঠী কব্রিহ্মা পরম সমাদরে অরুণাবতী ও স্বৰ্ণময়ীকে আনা হইল। স্বর্ণময়ীর মুখে সমস্ত ঘটনা শুনিয়া সভাৰ যাবতীয় ব্যক্তি ঘৃণা ও ক্রোধে কাপালিক এবং হেমন্দাকে প্ৰহারে জর্জৱিত কৰিল । আহত কাপালিক সেই প্ৰহাৱেই প্ৰাণত্যাগ করিল। হেমন্দাকে দন্তু কৱিৱা মাৱিৰাৱ জন্য তাহার পিতা, বরাদাকান্ত এবং রাজা কেদার রায় ঈসা খাকে ৰিৰদান করিলেন। সভার সমস্ত লোক একবাক্যে “ইহাই পাপাত্মার উপযুক্ত শান্তি" বলিয়া উঠিল। কিন্তু ঈসা খাঁ প্রাণদণ্ডের সমর্থন না করিয়া হেমন্দার নাক-কাম কাটিয়া দেশ হইতে করিয়া দিলেন। সকলে অহাতে আরও সন্তুষ্ট হইল। মিথ্যা ধারণার জন্য ঈসা খাঁ এবং কেদার রায় উভয়েই প্রতাপাদিত্যের নিকট দুঃৰ প্ৰকাশ করিলেন। ঈসা খাঁ সবুল ও পবিত্র অন্তঃকরণে প্রতাপাদিতোর সহিত গলায় পলায় সম্মিলিত হইলেন। তাঁহাকে বন্ধুতার চিহ্ন-স্বরূপ অনেক মূল্যবান দ্রব্য উপহার প্রদত্ত दल । ঈসা খাঁর ধর্মগুরু, মওলানা রেজাউল মোন্তকা বলিলেন যে, “পাপের দণ্ড ዒክr
