পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

qiኮማቕl : $uly wi°ifd (wwgg¢ዛ† দরবেশ সাহেব বালিকার মতলব বুঝিয়া বলিলেন, “আচ্ছা, বিকালে নিয়ে এস, দেখৰ”-এই বলিয়া তিনি বালিকার আঙ্গুলে ফুৎকার দিয়া বলিলেন, “তোমার বেদনা সেরে গেছে।" বালিকা কিছুক্ষণ নীরবে থাকিয়া আশ্চর্যের সহিত বলিল, “কৈ! আর তো বেদনা করে না! বা! আপনার ফুতে বেদনা সেরে গেল।” তখন হুৰ্ণপ্ৰসবিনী তারতবর্ষের রমোদ্যান বঙ্গভূমি, আজকালকার মত রেলের কল্যাণে নদ-নদীর স্রোত বন্ধ হইয়া ম্যালেরিয়ার প্ৰিয় নিকেতনে পরিণত হইয়াছিল না; তাই সেই বহুসংখ্যক বালক-বালিকার মধ্যে একটি মাত্র রুগ্ন বালক ছিল। বালক-বালিকারা সুকী সাহেবের নিকট হইতে ক্ৰমে ক্রমে বিদায় লইল । যে সমন্ত বয়স্ক লোক দাঁড়াইয়াছিল, দরবেশ সাহেব তাহাদিগকে স্থানীয় নানা তত্ত্ব জিজ্ঞাসা করিলেন। লোক-সংখ্যা কত, মুসলমাল কত, কেদার রায় কেমন লোক, স্থানীয় আবহাওয়া কেমন, জিনিসপত্র কেমন পাওয়া যায়, লোকের চরিত্র, শিক্ষা ও ধর্মানুরাগ কেমন, কত সম্প্রদায়, কত জানি, কি কি পূজা-পদ্ধতি চলিত আছে ইত্যাদি নানা বিষয়ে তিনি উপস্থিত জনসাধারণকে প্রশ্ন করিতে লাগিলেন । তাহারাও যথাযথ উত্তর দিতে লাগিল। কেবল কেদার রায় কেমন লোক, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে সকলেই থিতামত খাইয়া পরে বলিল, “ভাল লোক। অনেক লোক-লঙ্কর আছে; বাঙ্গালার নবাবের খাজনা দুই বৎসর হল বন্ধ (CSC. " দরবেশ সাহেব প্রশ্নোত্তর হইতে বুঝিতে পারিলেন, স্থানটি বেশ স্বাস্থ্যকর। মৎস্য ও তরিতরকারি অপর্যাপ্ত। অধিবাসীদের মধ্যে অধিকাংশই হিন্দু। সাধারণতঃ লোক সকল অশিক্ষিত ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন। কেদার রায় ও তােহর ভ্রাতা চাঁদ রায় সামান্য একটু বাঙ্গালা ও ফারসী জানেন। কেদার রায় অপেক্ষা চাঁদ রায় কম নিষ্ঠর ও উদার প্রকৃতি। কেদার রায় গণ্ডমূর্থ, হঠকারী এবং কুপমণ্ডুকবৎ সংকীর্ণ-জ্ঞান বলিয়া নিজেকে সত্য সত্যই প্রতাপশালী, বিশেষ পরাক্রান্ত স্বাধীন রাজা বলিয়াই মনে করেন। বাঙ্গালার নবাব দায়ুদ খাঁর পতনে রাজ্যের বিশৃঙ্খলা ঘটায় তিনি খাজনা বন্ধ করিয়া তাহার প্রজামণ্ডলীর মধ্যে নিজেকে স্বাধীন নরপতি বলিয়া প্রচার করিতে কুষ্ঠিত হন নাই, তবে রাজছত্র ধারণ ও মুদ্রাঙ্কনে এখনও সাহসী হন নাই । কেদার রায় ঈসা খাকে সম্মুখে ভক্তি-শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও হাত-জোড় করিয়া ৰাধ্যতা স্বীকার করিলেও তাঁহাকে স্বীয় আধিপত্য বৃদ্ধির পথে কণ্টক স্বরূপ বিবেচনা কবেন । ঈসা খাঁ ও তাহার স্বগীয় পিতা উপকার ব্যতীত কেদার রায়ের কখনও অপকার করেন নাই। বলিতে গেলে ঈসা খাঁর বন্ধুভাবই তাহার রােজ্যরক্ষার অবলম্বন-স্বরূপ হইয়াছে। ঈসা খাঁ কেদার রায়ের হিতৈষী না হইলে, তুলুয়ার প্রবল প্রতাপান্বিত ফজল গাজীর তরবারি ও কামানের মুখে কোন দিন እQ