সীতাদেবী . ଈଳିତ সীতাদেবী বজাহতপ্ৰায় হইলেন। তঁহার বোধ হইতে লাগিল, যেন তিনি বাস্তব জগৎ হইতে বহু দূরে বিক্ষিপ্ত হইয়া পড়িয়াছেন ; ভাবিতে লাগিলেন, “এ কি স্বপ্ন ” পরীক্ষণেই অতি কষ্টে মনোভাব সংযত করিয়া করুণ কণ্ঠে লক্ষণকে কহিলেন, “বৎস, কাহারও দোষ নাই। অদৃষ্টলিপি অখণ্ডনীয়। চিরজীবন দুঃখভোগ করিবার জন্যই সীতার জন্ম। নিয়তির সে নিৰ্ম্মম বিধান কে খণ্ডন করিবে ? রাজার কন্যা, রাজকুলবধু হইয়া আমার মত কষ্ট এ পৃথিবীতে আর কে পাইয়াছে ? পূর্বজন্মে হয় তা আমি কোন পতিপ্ৰাণা পত্নীর স্বামিবিচ্ছেদ ঘটাইয়াছিলাম, এ জন্মে তাহার ফলভোগ করিতেছি। ছিঃ, লক্ষণ । তুমি কঁাদিও না; দুঃখিনী जैीडाद्ध डicश1 यांश अicछ, उांश श्ठक। यांद्र विलक्ष করিও না, শীঘ্ৰ আৰ্য্যপুত্রের নিকট ফিরিয়া যাও। আমাকে পরিত্যাগ করিয়া তিনি কাতর ও অধরা হইয়াছেন সন্দেহ নাই ; যাহাতে তঁহার চিত্ত স্থির হয়, বিষগ্নতা অপসৃত হয়, তদ্বিষয়ে তুমি যত্নবান হইও । তঁহাকে কহিও, আমাকে পরিত্যাগ করিয়াছেন বলিয়া আমি তাহার প্রতি অপ্ৰসন্না বা অসন্তুষ্টা নাহি। প্ৰজারঞ্জনই রাজধৰ্ম্ম, তিনি রাজধৰ্ম্ম পালন করিয়াছেন। প্ৰকৃতিপুঞ্জের পরিতুষ্টির জন্য, তিনি আমাকে সম্পূর্ণ নিরপরাধিনী জানিয়াও ত্যাগ করিতে বাধ্য হইয়াছেন। তিনি আমাকে অবিশ্বাসিনী স্থির করিয়াছেন, এ কথা আমি স্বপ্নেও মনে স্থান দিতে পারিব না। তঁহার
