পৃ. ৩৯, পংক্তি ৮, এই “ত্রয়োদশ” পরিচ্ছেদটি প্রথম সংস্করণের “অষ্টাদশ” পরিচ্ছেদ।
পৃ. ৪১, পংক্তি ১৭, “ভবিষ্যৎ” কথাটির স্থলে “প্রারব্ধ” ছিল।
- পংক্তি ২১, এই পংক্তিটি ছিল না।
পৃ. ৪৩, পংক্তি ১, এই “চতুর্দ্দশ” পরিচ্ছেদটি প্রথম সংস্করণের “উনবিংশ” পরিচ্ছেদ।
- পংক্তি ১৯-২০, ১৯ পংক্তির শেষ হইতে, পর পংক্তির “আমার নাম জয়ন্তী” কথা কয়টির পূর্ব্ব পর্য্যন্ত নিম্নলিখিত অংশটি ছিল—
তুমি সে দিন বলিয়াছিলে, তুমি প্রকৃত ভৈরবী নও। তুমি তবে কি?
ভৈরবী! আমি বৈষ্ণবী। কিন্তু নেড়ার দলের বৈষ্ণবী নহি।
শ্রী। আবার বৈষ্ণবী কেমনতর? বৈষ্ণবীর এ বেশ ত নয়।
ভৈরবী। সে সকল রহস্য পরে জানিবে। এখন আমাকে বৈষ্ণবীই জানিও।
পৃ. ৪৫, পংক্তি ২, “আকৌশল” কথাটির স্থলে “অকুশল” ছিল।
এই পর্য্যন্ত পুস্তকের প্রথম খণ্ড।
পৃ. ৪৬, পংক্তি ২, “জয়ন্তী” কথাটির স্থলে “ভৈরবী” ছিল।
দ্বিতীয় খণ্ড—প্রথম পরিচ্ছেদের আরম্ভে প্রথম সংস্করণে নিম্নলিখিত অংশটি ছিল—
সীতারামের হিন্দু সাম্রাজ্য সংস্থাপন করা হইল না; কেন না, তাহাতে তাঁহার আর মন নাই। মনের সমস্ত ভাগ হিন্দু সাম্রাজ্য যদি অধিকৃত করিত, তবে সীতারাম তাহা পারিতেন। কিন্তু শ্রী, প্রথমে হৃদয়ের তিলপরিমিত অংশ অধিকার করিয়া, এখন হৃদয়ের প্রায় সমস্ত ভাগই ব্যাপ্ত করিয়াছে। শ্রী যদি নিকটে থাকিত, অন্তঃপুরে রাজমহিষী হইয়া বাস করিত, রাজধর্ম্মের সহায়তা করিত, তবে প্রেয়সী মহিষীর যে স্থান প্রাপ্য, সীতারামের হৃদয়ে তাহার বেশী পাইবার সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু শ্রীর অদর্শনে বিপরীত ফল হইল। বিশেষ ঐ পরিত্যক্তা, উদাসীনী। বোধ হয় ভিক্ষা বৃত্তি অবলম্বন করিয়া দিনপাত করিতেছে, নয়ত কষ্টে মরিয়া গিয়াছে, এই সকল চিন্তায় সে হৃদয়ে শ্রীর প্রাপ্য স্থান বড় বাড়িয়া গিয়াছিল। ক্রমে ক্রমে তিল তিল করিয়া, শ্রী সীতারামের সমস্ত হৃদয় অধিকৃত করিল। হিন্দু সাম্রাজ্যের আর সেখানে স্থান নাই। সুতরাং হিন্দু সাম্রাজ্য সংস্থাপনের বড় গোলযোগ। শ্রীর অভাবে, সীতারামের মনে আর সুখ নাই, রাজ্যে সুখ নাই, হিন্দু সাম্রাজ্য সংস্থাপনেও আর সুখ নাই। কাজেই আর হিন্দু সাম্রাজ্য সংস্থাপন হয় না।
পৃ. ৪৬, পংক্তি ১১-১৫, “শেষে সীতারাম···মন্দ উপস্থিত হইল।” এই অংশের পরিবর্ত্তে ছিল—
তখন সীতারাম হিন্দু সাম্রাজ্যে জলাঞ্জলি দেওয়া স্থির করিলেন। একবার নিজে তীর্থে তীর্থে নগরে নগরে শ্রীর সন্ধান করিবেন। যদি শ্রীকে পান, ফিরিয়া আসিয়া রাজ্য করিবেন; না পান, সংসার পরিত্যাগ