পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• সীতা । নিমিত্ত বিশেষ অনুসন্ধান করিয়াও উপযুক্ত পাত্র না পাইয়া বীৰ্য্যপরীক্ষাদ্বারাই কন্যা সম্প্রদান করিতে মনস্থ করিলেন। একদা মহাবল শূলপাণি দক্ষযজ্ঞবিনাশের নিমিত্ত অবলীলাক্রমে এক বৃহৎ শরাসন আকর্ষণ করিয়া রোবভরে স্বরগণকে কহিয়াছিলেন, “মুরগণ, আমি যজ্ঞভাগ প্রার্থনা করিতেছি, কিন্তু তোমরা আমার লভ্যাংশদানে সন্মত হইতেছ না। অতএব এই শরাসনদ্বারা আমি তোমাদিগকে এক্ষণেই বিনাশ করিব।” মহাদেবের এই কথা শুনিয়া দেবগণ স্তুতিবাক্যে র্তাহাকে প্রসন্ন করিতে লাগিলেন। তখন রুদ্র ক্ৰোধসম্বরণ করিয়া প্রীতমনে তাহাদিগকে ঐ ধন্থ প্রদান করিলেন। দেবতার হরধস্থ গ্রহণ করিয়া জনকের পূর্বপুরুষ মহারাজ নিমির পুত্র দেবরাতের নিকট উহ ন্যাসস্বরূপ রাখিয়া দিলেন। রাজর্ষি জনক এক্ষণে উক্ত ধমুর কথা স্মরণ করিয়া প্রতিজ্ঞ করিলেন, যে ব্যক্তি সেই হরকাশ্মকে জ্যারোপণ করিতে পারবেন,তাহারই হন্তে তিনি সীতাকে সম্প্রদান করিবেন। অনন্তর সীতা বয়ঃপ্রাপ্ত ও বিবাহযোগ্য হইলে অনেকানেক রাজা আসিয়া তাহাকে প্রার্থনা করিতে লাগিলেন ; কিন্তু সীতা বীৰ্য্যগুস্ক ছিলেন বলিয়। জনক কাহারও প্রার্থনায় সম্মত হইলেন না। ’ কিয়দিবসমধ্যে সীতার অলৌকিক রূপলাবণ্য ও গুণাবলীর কথা - দেশবিদেশে প্রচারিত হইল, এবং তৎসঙ্গে সঙ্গে জনকের পণও সকলে বিদিত হইলেন। কত দেশ হইতে কত নরপতি আসিয়া সীতালাভবাসনায় সেই হরকালুকে জ্যারোপণ করিতে যত্ন করিলেন, কিন্তু কেছুই তাই গ্রহণ বা উত্তোলন করিতে পারিলেন না, স্থতরাং জঙ্গ । ষ্ঠাহাদিগকে প্রত্যাখ্যান করিতে বাধ্য হইলেন। এই ঘটনার কিয়ৎকাল পরেই সাংস্কাগু হইতে ক্ষুধা নামে এক প্রবাপরাক্রান্ত মুক্তি আসিয়া মিথিলারাজ্য অবরোধ করিলেন, এবং দূতৰাৱ ।