পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

షితీ সীতা । দূর হইতেই রাক্ষদগণের কোলাহল শ্রবণ করিয়া সতর্ক হইলেন । ঘোরতর যুদ্ধ অনিবাৰ্য্য ভাবিয়া তিনি সীতাদেবীর জন্ত চিন্তিত হইলেন। কিয়ৎক্ষণ চিন্তু করিয়া তিনি লক্ষ্মণকে জানকীর সহিত শত্রুর দুষ্প্রবেশু এক গিরিগুহায় জাশয় লইতে পরামর্শ দিলেন এবং তাহাকে সৰ্ব্বপ্রকার ভয় ও বিপদ হইতে রক্ষা করিতে আদেশ প্রদান করিলেন। এদিকে মুহূৰ্ত্তকাল মধ্যে চতুর্দিক হইতে রাক্ষস সৈন্তগণ প্রবল বস্তাজলের ন্যায় ভীমপরাক্রমে ও অমিততেজে র্তাহার নিকট উপস্থিত হইল। মহাবীর রামচন্দ্ৰ পৰ্ব্বতের ভায় অচলভাবে দণ্ডায়মান হইয়া একাকী তাহেেদর সহিত ঘোরতর যুদ্ধ করিতে লাগিলেন। রাক্ষস সৈন্তগণ র্তাহার তীক্ষ শরজাল সহ করিতে অক্ষম হইলে, খরদূষণ ক্রোধে প্রজ্বলিত হইয়। তুমুল-সংগ্রাম আরম্ভ করিল, কিন্তু কিছুতেই রামকে পরাস্ত করিতে সমর্থ হইল না। এইরূপ বহুক্ষণ যুদ্ধের পর, তাহার উভয়েই সমস্ত রাক্ষসসৈন্তের সহিত রামশরে মিহত হইয়। অনন্ত নিদ্রায় নিমগ্ন হইল। যুদ্ধ সমাপ্ত হইলে সীতা দেবী দেবরের সহিত গিরিদুর্গ হইতে নিষ্ক্রাস্ত হইলেন, এবং জীবিতেশ্বরকে অক্ষতশরীর দেখিয় প্রবল বেগে আনন্দীশ্ৰী বিসর্জন করিতে লাগিলেন । অশুভক্ষণেই লক্ষ্মণ শূর্পণখাকে বিকৃতাঙ্গা করিয়াছিলেন। রাক্ষসী সমস্ত সৈন্তের সহিত ভ্রাতৃদ্বয়কে বনস্থলে নিপাতিত দেখিয়া লঙ্কায় পলায়ন করিল। তথায় সেই অসাধুদর্শিনী অশ্রীপুর্ণলোচনে রাবণকে আপনার দুর্দশা ও খর দূষণ প্রভৃতির বিনাশ সংবাদ জ্ঞাপন করিল, এবং রাম লক্ষ্মণকে সংহার করিয়া সেই অসহ অপমানের প্রতিশোধ লইতেও উৎসাহিত করিতে লাগিল। সে রাবণকে বলিল যে সীতার তুল্য রূপবতী রমণী জগতে কোথাও বিদ্যমান নাই। সীতা রূপের ছটায় বয়স্থলী আলোকিত করিয়া বিরাজ করিতেছে। সীতা অতিশয় প্রক্ষিপঞ্জী, রাম সীতাকে প্রাণীপেক্ষ অধিক ভালবালে, এবং