পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏty - সীতা । সহায়তা করিতে বলিল। মারীচ রামচন্দ্রকে বিলক্ষণ চিনিত । সে সিদ্ধাশ্রমে ষোড়শবর্ষীয় বালকের শরে তাড়িত হইয়া সমুদ্রগর্ভে নিক্ষিপ্ত হইয়াছিল, সুতরাং সে রাবণের প্রার্থনায় কোন মতেই সন্মত হইল না, বরং তাহাকে ঈদৃশ দুঃসাহসিক কাৰ্য্য হইতে বিরত করিতে অনেক যত্ন ও চেষ্টা করিল। কিন্তু জুরাকাঙ্ক্ষ রাবণ মারীচের বাক্যে ক্রোধে প্ৰজলিত হইয়া তাহাকে বিস্তর ভৎসনা করিল এবং ভ্ৰকুটি সঞ্চালন করিয়া মৃত্যুভয়ও প্রদর্শন করিল। তখন মারীচ আপনার মৃত্যু নিশ্চিত জানিয়া রামশরেই প্রাণত্যাগ করিতে কৃতনিশ্চয় হইল রাবণ মারীচকে রজতবিন্দুচিত্রিত স্বর্ণময় এক মৃগের রূপ ধারণ পূৰ্ব্বক রামের আশ্রমে সীতার মনোহরণ করিয়া ইতস্ততঃ পরিভ্রমণ করিতে উপদেশ প্রদান করিল। সীতা সেই অপূৰ্ব্ব মৃগ দেখিয়া নিশ্চয়ই রামকে তাহ ধরিয়া দিতে বলিবে । রাম মৃগের পশ্চাদ্ধাবিত হইলে, মারীচ তাহাকে প্রলোভিত করিয়া বহুদূরে লইয়। যাইবে এবং অকস্মাৎ “ হা লক্ষ্মণ, হা সীতে” এই আৰ্ত্তনাদস্থচক বাক্যগুলি তারস্বরে উচ্চারণ করিয়া কোথায় অদৃগু হইবে। অনন্তর সাত সেই আৰ্ত্তনাদ শ্রবণমাত্র রামের বিপদাশঙ্কা করিয়া লক্ষ্মণকে নিশ্চয়ই রামের সাহায্যার্থ প্রেরণ করিবে। সীতা তখন কুটীরে একাকিনী অবস্থান করিবে, রাবণ সেই অবসরে সীতাকে বলপূৰ্ব্বক গ্রহণ করিয়া আকাশপথে লঙ্কায় আগমন করিবেন। মার্চ রাবণের এই অসাধু প্রস্তাবে সন্মত হইবামাত্র মঙ্গ ভাগিনী সীতার মুখের দিন অবসান হইল। একদিন সীতাদেবী প্রফুল্লচিত্তে আশ্রমসন্নিহিত কদলীবনে ভ্রমণ করিতেছেন এবং কখন কখন কণিকার ও অশোকবৃক্ষ হইতে পুষ্পচয়ন করিয়া আনন্দে নানাবিধ ভূষণ রচনা করিতেছেন। অদূরে রামলক্ষ্মণ এক বৃহৎ শিলাতলে উপৰিষ্ট আছেন। হরিণহরিণীসকল সীতার সন্নিকটে হুকোমল তৃণাল ভক্ষণ করিতেছে, কখনও বা হরিণশিশুগুলি