পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

》枪曲 जैौडी । তৰে পাচকগণ আমার প্রাতভোজনের জন্য তোমাকে নিশ্চয়ই খও খও করিয়া ফেলিবে।” (৫২২) জানকী ভীত হইলেন না। তিনি পাতিব্ৰত্যতেজে ও পতির বীৰ্য্যগৰ্ব্বে কহিতে লাগিলেন “নীচ, এই নগরীর মধ্যে তোর শুভাকাজী কেহই বিদ্যমান নাই। আমি ধৰ্ম্মশীল রামের ধৰ্ম্মপত্নী, তুই ভিন্ন ত্রিলোকে আর কেহই আমাকে মনে ও কামনা করিতে পারে না। পামর, তুই এক্ষণে আমায় ষে সকল পাপকথা কহিলি, বল, কোথায় গিয় তাহ হইতে মুক্ত হইবি ? * * * তুই আমাকে কুদৃষ্টিতে দেখিতেছিল, তোর ঐ বিকৃত ক্রর চক্ষু ভূতলে কেন স্বলিত হইল না ? আমি রামের ধৰ্ম্মপত্নী এবং রাজা দশরথের পুত্রবধু, আমাকে অবাচ্য কহিয়া তোর জিহ্বা কেন বিশীর্ণ হইল না ? দেখৃ, তুই আমাকে হরণ ও গোপন করিয়া কদাচই রাখিতে পারিবি না ; যতদূর করিয়াছিল, তোর মৃত্যুর পক্ষে ইহাই যথেষ্ট হইবে।” (৫২২) রাবণ আর সহ্য করিতে পারিল না । দুরাত্মা ক্রোধে ভীষণ মূৰ্ত্তি ধারণ করিল। সকলে সেই মূৰ্ত্তি দর্শন করিয়া ভীত হইল। রাবণকে সীতার বধসাধনে সমুদ্যত দেখিয়া ধান্যমালিনী নামী তাহার এক পত্নী মধ্যবৰ্ত্তিনী হইয়া তাহাকে স্ত্রীবধরূপ ঘৃণিত কাৰ্য্য হইতে বিরত করিল এবং বচনচাতুৰ্য্যে স্বামীর মন প্রীত করিয়া তাহাকে অন্যত্র লইয়া গেল। রাবণ পত্নীগণের সহিত সেই স্থান পরিত্যাগ করিবার পূৰ্ব্বে, সীতার বশীকরণ সম্বন্ধে চেড়ীগণকে নানা প্রকার উপদেশ প্রদান করিল। রাবণ প্রস্থান করিলে, দুরন্ত রাক্ষসীর জানকীকে নানা প্রকারে উৎপীড়িত করিতে লাগিল ; কেহ সাস্বনাবাক্যে, কেহ প্রলোভন প্রদর্শন দ্বার, কেহ রাবণের গুণ কীৰ্ত্তন করিয়া, এবং কেহ কেহ বা ভয়প্রদর্শন ও কটুবাক্য প্রয়োগ পূর্বক সীতাকে বশীভূত করিতে চেষ্টা করিল। কিন্তু সীতাদেবী তাহদের বাক্যে