১৬২ সীতা । উন্মোচন পূৰ্ব্বক তাহ হনুমানের হস্তে প্রদান করিলেন এবং তৎকালে ইহাও বলিলেন “দূত, এই অভিজ্ঞান রামের অবিজ্ঞাত নহে ; তিনি ইহা দেখিবামাত্র আমাকে, আমার জননীকে ও রাজা দশরথকে স্মরণ করিবেন।” হনুমান সেই অভিজ্ঞানচূড়ামণি গ্রহণ পূৰ্ব্বক সযত্নে তাহ রক্ষা করিলেন এবং অশ্রুপূর্ণলোচনা সীতাদেবীকে সাস্তুনা ও ভক্তিসহকারে তাঁহাকে প্রণাম করিয়া সেই স্থান হইতে প্রস্থান করিলেন । হনুমান অশোককাননে বিচরণ করিতে করিতে নানাপ্রকার চিন্তা করিতে লাগিলেন। লঙ্কা পরিত্যাগ করিবার পূৰ্ব্বে একবার রাবণের বলাবল পরীক্ষা করিয়া যাইতে র্তাহার বড় ইচ্ছা ছইল । তদুদেশে তিনি সেই মনোহর অশোককাননকে ভগ্ন ও হতশ্ৰী করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। রাক্ষসের। তাছার ভীমমূৰ্ত্তি দর্শন করিয়া ইতস্তত: পলায়ন করিল। মুহূৰ্ত্তমধ্যে এই ভয়ঙ্কর উৎপাতসংবাদ রাবণের কর্ণগোচর হইল । রাবণ বানরকে ধৃত বা নিহত করিতে অনুচরগণের প্রতি আদেশ প্রদান করিল। তৎক্ষণাৎ তাহারা অস্ত্র শস্ত্র লইয়। হনুমানের সহিত অশোককাননে যুদ্ধ আরম্ভ করিল। হনুমান তাহাদের শরজাল নিবারণ করিয়া অক্লেশেই তাহাদিগকে বিনাশ করিলেন। রাবণ বানরের দুঃসাহস দর্শনে ক্রোধে প্ৰজলিত হইয়। তৎবিরুদ্ধে প্রধান প্রধান সেনাপতিগণকে প্রেরণ করিলেন ; কিন্তু জাহারাও তৎকর্তৃক যমসদনে প্রেরিত হইল। অনন্তর যুদ্ধ বিশারদ রাবণকুমার অক্ষ রোষভরে হনুমানের বিরুদ্ধে ধাবমান হইল । হনুমান তাহার শরে ক্ষতবিক্ষতাঙ্গ হইয়। অতিশয় ক্লিষ্ট হইলেন । ঘোরতর যুদ্ধ আরম্ভ হইল, কিয়ৎক্ষণ জয়পরাজয় কিছুই স্থিরীকৃত হইল না ; পরিশেষে মহাবীর পবনকুমার তাহাকেও অনুচরবর্গের সহিত সংহার করিলেন এবং এক প্রাচীরোপরি উপবিষ্ট হইয়া মুছমুছ
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৬৬
অবয়ব