পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s१३ সীতা । দেখিয়া বীরের স্তায় যুদ্ধ করিতে করিতে প্রাণত্যাগ করিল। ইন্দ্রজিং লক্ষ্মণ কর্তৃক যজ্ঞস্থলে নিহত হইয়াছে এই সংবাদ শ্রবণমাত্র রাবণ মূৰ্ছিত হইয়া ধরাতলে পতিত হইল, এবং কিয়ৎক্ষণ পরে সংজ্ঞালাভ করিয়া শোকে উন্মত্তলং ভীষণ রূপ ধারণ করিল। তাহার গৰ্ব্বিত হৃদয় ভগ্ন হইয় পড়িল, ও হৃৎপিণ্ড যেন ছিন্ন হইয় গেল। রাবণ সমস্ত জয়াশা পরিত্যাগ করিয়৷ বিলাপ করিতে লাগিল এবং কালরূপিণী সীতাই যে সমস্ত অনৰ্থপাতের মূল তাহা এতদিনে হৃদয়ঙ্গম করিতে সমর্থ হইল। রাবণ তৎক্ষণাৎ "খড়েগাত্তোলন করিয়া সীতার বিনাশার্থ ধাবমান হইল ; তাহার সংহারমূৰ্ত্তিদর্শনে সকলে ইতস্ততঃ পলায়ন করিল। সীতা দূর হইতেই রাবণকে ভীমবেশে আসিতে দেখিয়া নিজমৃত্যু অবধারণ করিলেন, এবং হৃদয়ের আরাধ্য দেবতা প্রেমময় জীবিতনাথের পদারবিন্দ স্মরণ করিয়া রাবণের খড়গাঘাত প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন। সহসা রাবণের পত্নীগণ শোকাকুলুমনে ও জালুলায়িতকেশে তথায় উপস্থিত হইয় তাহাকে স্ত্রীবধরূপ পাপময় ঘৃণিত কাৰ্য্যাকুষ্ঠান হইতে বিরত করিল। রাবণ শোকে বিহ্বল হইয়৷ সেই স্থান পরিত্যাগ করিল এবং তদণ্ডেই যুদ্ধ যাত্রা করিয়৷ রামের সহিত ভয়ঙ্কর সংগ্রাম আরম্ভ করিল। বহুক্ষণ যুদ্ধ হইলে, লক্ষ্মণ রাবণের শক্তিশেলে হতচেতন হইয়া ধরাশয্যায় শয়ন করিলেন। রামচন্দ্র প্রাণপ্রতিম ভ্রাতাকে গতামু মনে করিয়া বিলাপ করিতে লাগিলেন ; বানরসকল শিরে করাঘাত করিয়া রোদন করিতে লাগিল ; মুহূৰ্ত্তমধ্যে সেই রণস্থল হাহাকার ও বিলাপধ্বনিতে পরিপূর্ণ হইয়া গেল। এ দিকে রাবণ যুদ্ধে জয়লাভ করিয়৷ সিংহনাদ পরিত্যাগ করিতে করিতে পুরীমধ্যে প্রবেশ করিল। লক্ষণ শক্তিশেলে বিদ্ধ হইয়া লুপ্তসংজ্ঞ হইলে, হনুমান স্থচিকিৎসকগণের পরামর্শে র্তাহার নিমিত্ত গন্ধমাদন পৰ্ব্বত হইতে ঔষধ