পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাদশ অধ্যায় । ১৯৩ বিদ্যমান ছিল । তিনি সকলেরই সুখ ও মঙ্গলচিস্ত করিতেন ; সামান্ত পরিচারিকাও তৎকর্তৃক উপেক্ষিত হইত না। সীতা রাজমহিষী বলিয়া কখনও অহঙ্কত হন নাই ; তবে ইহা সত্য বটে যে তিনি স্বামীর সৌভাগ্যে আপনাকে সৌভাগ্যবতী, তাহার বশে আপনাকে যশস্বিনী, এবং তাহার গৌরবে আপনাকে গৌরবান্বিতা মনে করিতেন। ভর্তা গুরু রাজ্যভার বহন করিতেছেন, যাহাতে তিনি আপনার কৰ্ত্তব্যকৰ্ম্মসকল সুচারুরূপে পালন করিতে সক্ষম হন, সীতা তদ্বিষয়ে সৰ্ব্বদাই যত্নবর্তী ছিলেন। রামচন্দ্ৰ পূৰ্ব্বাহ্নে সমস্ত রাজকাৰ্য্য পরিদর্শন করিয়া দিবসের শেষাৰ্দ্ধ অন্তঃপুরেই অতিবাহিত করিতেন । সীতাদেবী বহুমূল্য বসনভূষণে সুসজ্জিত হইয়া প্রীতমনে স্বামীর সহিত মিলিত হইতেন এবং নানাবিধ আনন্দপ্রসঙ্গে কালযাপন করিতেন। এইরূপে বহুকাল অতিবাহিত হইল। এক দিন রামচন্দ্র আনন্দিতমনে সীতার পাণ্ডুরবর্ণ মুত্র মুখমণ্ডল অবলোকন করিতে করিতে সহসা তাহাকে প্রজাবতী বলিয়া বুঝিতে পারিলেন। তখন রামের আনন্দের আর পরিসীমা রহিল না। তিনি লজ্জাবনতমুখী প্রিয়তমা দয়িতাকে একান্ত অনুরাগভরে অঙ্কে আরোপণ করিয়া দোহদপ্রশ্ন করিলেন “প্রিয়ে, দেখিতেছি তোমার সমস্ত গর্ভলক্ষণ উপস্থিত; এক্ষণে তোমার অভিপ্রায় কি বল। আমি তোমার কি প্রিয়সাধন করিব ?” দেবী জানকী ত্রীড়ায় সঙ্কুচিত হইয়া ঈষৎ হাস্ত করিয়া বলিলেন “নাথ, এক্ষণে পবিত্র আশ্রমসকল দর্শন করিতে আমার অতিশয় ইচ্ছা হইয়াছে। যে সকল ফলমূলাশী তেজস্বী ঋষি জাহ্নবীতটে উপবিষ্ট হইয়া তপস্যা করিতেছেন, আমি তাহাদের নিকট একবার গমন করিব। আমি অন্ততঃ এক রাত্রি তাহাদের তপোবনে গিয়া বাস করিব, এই আমার মনোগত ইচ্ছা।” ( ৭la২ ) ૨&