বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সীতা । هم چ প্রকাশ্যে র্তাহার বাক্যে অনুমোদন করিলেন বটে, কিন্তু সেই সরলহৃদয়ার অবগুস্তাবিনী দুর্দশার কথা চিন্তা করিয়া মনে মনে অতিশয় সন্তপ্ত হইলেন। যাহা হউক তিনি সংযতচিত্ত হইয়া পূজা স্বভাবা জানকীর সহিত রথে আরোহণ করিলেন। সীতাদেবী নগরীর বহির্ভাগে শস্যশ্যামল ক্ষেত্র, কুমুমিত বৃক্ষলতা, বন উপবন, উদ্যান সরোবর প্রভৃতি প্রাকৃতিক পদার্থনিচয়ের অপূৰ্ব্ব শোভা সন্দর্শন করিয়া পুলকিত, এবং প্রিয়তম প্রাণনাথের অপার স্নেহ ও করুণার কথা চিন্তা করিয়া হৃষ্ট ইইতে লাগিলেন। সহসা সীতার । দক্ষিণ চক্ষু স্পন্দিত এবং সৰ্ব্বাঙ্গ কম্পিত হইয় উঠিল। তাহার মস্তক বিঘূর্ণিত হইতে লাগিল এবং তাহার চক্ষে জগৎসংসার যেন অন্ধকারময় বোধ হইল। তঁহার মন কি কারণে যে এত উদ্বিগ্ন হইল তাহ। তিনি বুঝিতে পারিলেন না। তিনি লক্ষ্মণের মুখপানে একবার দৃষ্টিপাত করিয়া আরও উৎকণ্ঠিত হইয় পড়িলেন। পতিপ্রাণা জানকী আৰ্য্যপুত্রের কোনরূপ অমঙ্গল আশঙ্কা করিয়া কহিলেন “বৎস, আমার মন অতিশয় উদ্বিগ্ন হইতেছে ; আমি পৃথিবী শূন্ত দেখিতেছি ; তোমার ভ্রাতা রাম ত কুশলে আছেন ? শ্বশ্ৰগণের ত মঙ্গল ? গ্রাম ও নগরবাসিগণের ত কোন বিপদ ঘটে নাই ?” লক্ষ্মণ জানকীর উৎকণ্ঠদর্শনে তাহাকে আশ্বস্ত করিতে লাগিলেন ; কিন্তু জানকী উদ্বিগ্নমনে কৃতাঞ্জলিপুটে উদ্দেশে দেবতাগণের নিকট সকলের মঙ্গল কামনা করিতে লাগিলেন। { লক্ষ্মণ গোমতীতীরস্থ আশ্রমে রাত্রিযাপন পূৰ্ব্বক পর দিন মধ্যাহ্ন সময়ে জাহ্নৰীতটে উপস্থিত হইলেন। দূর হইতে জাতুৰীকে দর্শন করিয়া লক্ষ্মণ অতিশয় কাতর হইয়া পড়িলেন ; লক্ষ্মণের সংযত শোকাবেগ উচ্ছলিত হইয়াউঠিল; তিনি আর কোন ক্রমেই নিজ মনোভাব গোপন করিতে সমর্থ হইলেন না। সরলস্বভাব সীতা দেবরকে