পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ অধ্যায় । २०१ হাহাকার করিয়া রোদন করিতে লাগিলেন ; তৎকালে কেহই তাহাকে সান্থনা করিতে সমর্থ হইলেন না। অগ্রজকে এইরূপ কাতর দেখিয়া লক্ষ্মণ, কহিলেন “প্রভো, যে প্রজাপলিনামুরোধে আপনি এই অশ্রুতপূৰ্ব্ব ভয়ঙ্কর কার্য্যের অনুষ্ঠান করিলেন, এক্ষণে সেই রাজধৰ্ম্মে মনোনিবেশ করুন। স্ত্রীপুত্রপরিবার সমস্তই অনিত্য ; ইহাদের সহিত বিয়োগ অবশুম্ভাবী ; সুতরাং আপনি শোক পরিহার করুন। আপনার স্তায় সৎপুরুষেরা এইরূপ বিষয়ে কদাচ বিমোহিত হন না। আপনি যে অপবাদভয়ে ভীত হইয়া আর্য্যাকে পরিত্যাগ করিয়াছেন, এক্ষণে তজ্জন্ত শোকাকুল হইলে সেই অপবাদই আবার উজ্জীবিত হইয়া উঠিবে ; সুতরাং আপনি ধৈর্য্যবলে এই দুৰ্ব্বল বুদ্ধি পরিত্যাগ করুন; আর সস্তপ্ত হইবেন না।” মহারাজ রামচন্দ্র লক্ষ্মণের বাক্যে আশ্বস্ত হইয়। রাজকাৰ্য্যে পুনবার মনোনিবেশ করিলেন। তিনি নানাপ্রকার হিতকর কাৰ্য্যে নিয়ত ব্যাপৃত রহিলেন বটে, কিন্তু জানকীর সরল পবিত্র মূৰ্ত্তি র্তাহার অন্তর হইতে মুহূৰ্ত্তের নিমিত্ত ও অন্তৰ্হিত হইল না । তিনি সীতাবিরহে প্রভাতকালীন শশাঙ্কের ন্যায় অতিশয় নিম্প্রভ হইলেন, এবং আর কোন প্রকারেই হৃদয়ে প্রকৃত প্রসন্নতা লাভ করিতে সমর্থ হইলেন না। রামের জীবন যেন অতিশয় দুৰ্ব্বহ বোধ হইতে লাগিল । রাম জনকতনয়ার অলৌকিক গুণাবলী যতই স্মরণ করিতে লাগিলেন, ততই তাহার মন অতিশয় সস্তপ্ত হইতে লাগিল। যাহাহউক, এক প্রজাপালন ব্যতীত রামচন্দ্রের ইহসংসারে স্থিতি করিবার আর কোনই বন্ধন রহিল না। তিনি আত্মমুখে জলাঞ্জলি দিয়া এখন কেবল রাজ্যশাসনেই চিত্তনিয়োগ করিলেন। রামচন্দ্রের স্বশাসনগুণে রাজ্য অতিশয় সমৃদ্ধিশালী হইয়া উঠিল। লোকে সদাচারসম্পন্ন ও ধৰ্ম্মপরায়ণ হইল ; কেহই উচ্ছ,খল হইল না। তাছার প্রতাপে শক্রবর্গ