পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। २२e পতিই যাহার একমাত্র সুখ, তাহার নিকট রাজ্য ঐশ্বৰ্য্যাদি অকিঞ্চিৎকর পদার্থ মাত্র। সে সমস্ত ত্যাগ করা তাহার পক্ষে বিস্ময়কর নহে। ইহাকে আত্মত্যাগ বলে না ; যাহা প্রকৃত সুখ ও আননা, তাহার বিসর্জনই প্রকৃত আত্মত্যাগ। স্বামী অপেক্ষা ধনরত্ব ধাহাদের চক্ষে শ্রেষ্ঠতর, তাহারা ইহাকে আত্মত্যাগ বলিলেও বালতে পারেন , কিন্তু সীতাদেবী যখন নিজ আগ্রহপূর্ণ প্রার্থনাবলে বনবাসে স্বামীর সঙ্গিনী হইতে অনুমতি পাইলেন, তখন আর তাহার ত্যাগ কি ? মুখ ত্যাগ করা দূরে থাক, বরং অরণ্যে স্বামীর অন্ধুসরণ করিয়৷ তিনি প্রকৃত মুখেরই অধিকারিণী হইলেন। পতিই সীতার মুখ, তাই গীত পতিব্ৰতার অগ্রগণ্য ; তাই জগতে র্তাহার তুলনা নাই ! সীতা রামের সহিত একাত্ম হইয়াছিলেন, সুতরাং স্বভাবতই তিনি বনবাসে স্বামীর মুখদু:খের সমভাগিনী হইতে ব্যাকুল হইলেন। বনে মনে পৰ্য্যটন করিয়া সীতা ক্লাস্তি অনুভব করিলেন না ; বরং এক একবার ভৰ্ত্তার প্রেমময় মুখমণ্ডলের দিকে এবং এক একবার প্রাকৃতিক সৌন্দর্ঘ্যের দিকে দৃষ্টিপাতু করিয়া হৃদয়ে অতুল আনললাভ করিতে লাগিলেন। এইরূপে বহুদিন অরণ্যপৰ্য্যটন করিয়া, উস্কার মনুং ফুটারনে এক কুটার নিৰ্ম্মাণ পূৰ্ব্বক তন্মুধ্য মুখে বাসকরিতে লাগিলেন। পঞ্চবটা যেন প্রকৃতিদেবীর লীলাভূমি ; নদ নদী, বন উপরন, গিরিনিকর ও মৃগ পক্ষীতে এই স্থান যেন অপূৰ্ব্ব শোভময় । এই মনোহর পঞ্চবটীবনে স্বামিসহবাসে ও দেবরের পরিচৰ্য্যায় সীতা জীবন যাপন করিতে লাগিলেন। রাম যেখানে বিদ্যমান, সীতার চক্ষে তাহাই স্বৰ্গ ; কিন্তু এই পঞ্চবটী সীতার নিকট যেন স্বৰ্গ অপেক্ষা ও সুখকর বোধ হইতে লাগিল। আলোকময়ী জানকী জ্যোতিষ্মান রামের সহিত একমন, একপ্রাণ, একহৃদয় হইয়া জড়