পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

凸8 - - नौऊ l মুখস্বাচ্ছন্যের জন্ত বিস্তর কায়ক্লেশও সহ করিতে হইবে। তাই রামচন্দ্র লক্ষ্মণকে বলিলেন “বৎস, আর তুমি নগর স্মরণ করিয়া फे९रून्जिङ श्हे७ ना।” ब्राश गन्नगएक ले९कर्छ। झुप्रैौजूठ कब्रिप्ङ উপদেশ দিলেন বটে, কিন্তু তিনি ভূমিশয্যাতে শয়ন করিয়াই আপনার মানসিক উদ্বেগ নিরোধ করিতে সমর্থ হইলেন না। যথার্থ বটে রাম এক পিতৃসত্যপালন ও ধৰ্ম্মরক্ষার নিমিত্তই পিতা মাতা । ও জনপদবর্গের মনে ক্লেশপ্রদান করিয়াও মহোৎসাহে বনবাস স্বীকার করিয়াছেন,কিন্তু তিনি জন্মগ্রহণ করিয়া অবধি কুপুত্রের স্থায় জননীকে বিস্তর যন্ত্রণ প্রদান করিয়াছেন এবং পিতারও শোকের যথেষ্ট কারণ হইয়াছেন; এই সমস্ত বিষয় পূৰ্ব্বাপর আলোচনা করিয়া রাম অতিশয় সস্তপ্ত হইলেন। তিনি অবিরল ধারায় অশ্রমোচন করিতে লাগিলেন,তদর্শনে সীতা এবং লক্ষ্মণ ও অতিশয় কাতর হইয়া, পড়িলেন। অবশেষে সুধীর লক্ষ্মণ শাস্তচিত্ত হইয়া রামচন্দ্রকে আশ্বাস প্রদান করিতে লাগিলেন। রাম কনিষ্ঠ ভ্রাতার সুমধুর বাক্যে আশ্বস্ত ও উৎসাহিত হইয়া সেই জনসঞ্চারশূন্ত অরণ্যে নিশ যাপন করিলেন। পরদিন প্রভাতে সকলে গাত্ৰোখানপূর্বক গঙ্গা যমুনার সঙ্গমস্থল লক্ষ্য করিয়া বনে বনে গমন করিতে লাগিলেন। সীতা ভৰ্ত্তার সহিত কত রমণীয় স্থান অবলোকন করিলেন, কিন্তু রামের বিষাদপূর্ণ মুখমণ্ডল অবলোকন করিয়া কিছুতেই আনন্দলাভ করিলেন না। রাজবাল ও রাজবধু সীতাদেবী একমাত্র পতিপ্রেমের বশবর্তিনী হইয়। সেই কণ্টকপূর্ণ, প্রস্তরময়, নিয়োল্পতভূমিসম্বুল বনপ্রদেশকে কুসুমাவி পথের দ্যায় জ্ঞান করিতে লাগিলেন। এইরূপে সমস্ত দিন পর্য্যটন করিয় তাহারা সন্ধ্যাকালে প্রয়াগসন্নিধানে উপনীত হইলেন, এবং যেখানে মহর্ষি ভরদ্বাজের পবিত্র আশ্রম বিরাজ করিতেছিল সেই দিকে অগ্রসর হইতে লাগিলেন। ক্ষণকালমধ্যেই তাহারা আশ্রমে ।