পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় । ፃፃ কেবল ভোগসাধন করিতে র্তাহাকে অভিলাষ করে, সেই সকল শ্বৈরিণী এই সমস্ত গুণদোষ কিছুই হৃদয়ঙ্গম করিতে পারে না। জানকি, তাদৃশী স্কুশচরিত্রা সকল অধৰ্ম্মে পতিত ও অযশ প্রাপ্ত হয়। কিন্তু তোমার তুল্য যাহাদের হিতাহিত জ্ঞান আছে, সেই সমস্ত গুণবতী, পুণ্যশীলার স্তায়, স্বর্গে পূজিত হইয় থাকেন। অতএব এক্ষণে তুমি সকল বিষয়ে পতিরই অমুত্রত হইয়া থাক।” (২।১১৭) বৃদ্ধ ঋষিপত্নীর এই উপদেশবাক্যের প্রকৃত মূল্য জগতে পাওয়া যায় না। পাতিব্ৰত্যধৰ্ম্মের এরূপ উচ্চ আদর্শ সংসারে অতিশয়, দুর্লভ। এই উচ্চ আদর্শ দ্বারা অণুপ্রাণিত হইয়া নারীগণ আপনাদিগকে পরিচালিত করিলে সংসারক্ষেত্র স্বর্গের শোভা ধারণ করিবে। প্রার্থনা করি, এই অমূল্য উপদেশমালা নারীমাত্রেরই কণ্ঠহার হউক । ধিনি যে বিষয়টি প্রাণত্যুল্য ভালবাসেন এবং তাছার পালনের জন্য প্রাণপণে যত্ন করেন ও তৎসম্বন্ধে সৰ্ব্বদাই চিন্তা করিয়া থাকেন, তাহাকে সে বিষয়ে কোন উপদেশ প্রদান করিলে তাহার মনোমধ্যে কেমন এক প্রকার অসহিষ্ণুত আসিয়া উপস্থিত হয়, কেমন এক প্রকার বিরক্তিভাবে তাহার হৃদয় পরিপূর্ণ হইয় উঠে। জননীকে পুত্রস্নেহ সম্বন্ধে উপদেশ প্রদান করিলে তাঞ্ছার মনে যেরূপ বিচিত্রভাবের উদয় হয়, পতিব্ৰতাকেও পাতিব্ৰত্য ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে উপদেশ দিলে তাহার হৃদয়ও তদ্রুপ ভাবের লীলাভূমি হইয় থাকে। সীতাকে যখনই কেহ পতিপরায়ণতাসম্বন্ধে কোন উপদেশ প্রদান করিয়াছেন, তখনই আমর তাহার বাক্যে কেমন এক প্রকার অসহিষ্ণুতা ও বিরক্তি লক্ষ্য করিয়াছি। তাহাকে যেন সে সম্বন্ধে কোন উপদেশ প্রদানের, অবিশুকতাই নাই ! সত্য বটে, সীতার মনে কোন অহঙ্কার ছিল লt এবং তিনি আপনাকে পতিভক্তিসম্বন্ধে সমস্ত উপদেশের বর্হিভূতও মনে করিতেন না ; বরং স্বামীর প্রতি কৰ্ত্তব্যপালন সম্বন্ধে তাহাকে