পাতা:সীমান্ত গান্ধী - সুকুমার রায়.pdf/৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভূমিকা

 গফুর খানের জীবনী এখন পর্যন্ত রচিত হয় নাই। এই গ্রন্থখানি লিখিবার সময় আমাকে নর্থ-ওয়েস্ট ফ্রণ্টিয়ার প্রদেশ সম্পর্কে লিখিত বিভিন্ন গ্রন্থের সাহায্য লইতে হইয়াছে। কিন্তু জীবনীর যোগসূত্র রক্ষা করিবার জন্য আমাকে বিশেষ করিয়া পুরাতন ও নূতন সংবাদপত্রের ফাইল ঘাঁটিতে হইয়াছে। পুস্তকখানি লিখিবার সময় বন্ধু শ্রীযুত সত্যেন সেনের নিকট হইতে আমি যথেষ্ট উৎসাহ পাইয়াছি। লেখার ব্যাপারে তিনি আমাকে নানাভাবে সাহায্য না করিলে হয়ত বইখানি অর্ধেক লেখা হইয়াই পড়িয়া থাকিত।

 সীমান্ত গান্ধী ও খোদাই-খিদমদগার আন্দোলন সম্পর্কে জানিবার আগ্রহ হওয়া স্বাভাবিক। ১৯৩০ এবং ১৯৪২ সালের আন্দোলনে পাঠানজাতি যে বীরত্বের পরিচয় দিয়াছে—শান্তিপূর্ণভাবে স্বাধীনতার বেদীমূলে আত্মবলি দিয়া যে অহিংসার পরাকাষ্ঠা দেখাইয়াছে, তাহাই সীমান্ত আন্দোলন সম্পর্কে জানিবার জন্য দেশবাসীর আগ্রহ জাগাইয়া তুলিয়াছে। গফুর খানের আন্দোলনকে বুঝিতে হইলে আগে মানুষটিকে চিনিতে হইবে। তাই সর্বপ্রথম সেই চেষ্টাই করিয়াছি। ইতি

মহালয়া
১৩৫৩
গ্রন্থকার