বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সুকান্ত সমগ্র.djvu/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



জ্বলে আলো আক্ত, আমাদের হাড়ে জমা হয় বিদ্যুৎ,
নিহত দিনের দীর্ঘ শাখায় ফোটে বসন্তদূত।
মৃঢ় ইতিহাস; চল্লিশ কোটি সৈন্তের সেনাপতি।
সংহত দিন, রুখবে কে এই একত্রীভূত গতি?
জানি আমাদের অনেক যুগের সঞ্চিত স্বপ্নেরা
দ্রুত মুকুলিত তোমার দিন ও রাত্রি দিয়েই ঘেরা।
তাই হে আদিম, ক্ষতবিক্ষত জীবনের বিস্ময,
ছড়াও প্লাবন, দুঃসহ দিন অণর বিলম্ব নয়।
সারা পৃথিবীর দুয়ারে মুক্তি, এখানে অন্ধকার,
এখানে কখন আসন্ন হবে বৈতরণীব পাব?



অলক্ষ্যে
আমার মৃত্যুর পর কেটে গেল বৎসর বৎসর;
ক্ষয়িষ্ণু স্মৃতির ব্যর্থ প্রচেষ্টাও আজ অগভীর,
এখন পৃথিবী নয় অতিক্রান্ত প্রাযান্ধ স্থবির:
নিভেছে প্রধুম্রজ্বালা, নিরঙ্কুশ সূর্য অনশ্বর;
স্তব্ধতা নেমেছে রাত্রে থেমেছে নির্ভীক তীক্ষস্বর-
অথবা নিরন্ন দিন, পুথিবীতে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা;
উদ্ধত বঞ্জের ভয়ে নিঃশব্দে মৃত্যুর আনাগোনা,
অনন্ত মানবসত্তা ক্রমান্বয়ে স্বল্পপরিসর।

গলিত স্মৃতির বাষ্প সেদিনের পল্লব শাখায়
বারস্বার প্রতারিত অস্ফুট কুয়াশা রচনায়;

১২৫