অমূল্যদার সঙ্গে দেখা হলে বলিস তিনি যদি কখনো কলকাতায় আসেন আমার সঙ্গে যেন দেখা করেন, তাঁকে আমার ঠিকানা দিস।
তুই লিখেছিল, আমার লেখা না পেলে তোর কাগজ বন্ধ হয়ে যাবে, যখন লিখেছিস, তখন হয়তো ঐ অবস্থা ছিল, এখন সে দুর্ভিক্ষ কেটে গেছে। এই ভেবে ভরসা করে ব্যয়ের নিপীড়ন থেকে নিজেকে রক্ষা করলুম।
এই মাসের ‘পরিচয়ে’ আমার কবিতা আর গত সংখ্যা (অর্থাৎ ত্রিংশ সংখ্যা) ‘অরণি'তে আমার গল্প বেরিয়েছে। ‘পরিচয়’ বোধহয় তোদের ওখানে কেউ নেয় না, কিন্তু ‘অরণি’ নেয় জানি, সুতরাং ঐ সংখ্যা ‘অরণি’ জোগাড় করে তুই পড়িস এবং মাকে পড়াস আর এই চিঠির উত্তরে গল্পটা সম্বন্ধে মূল্যবান মতামত জানাস।
পরিশেষে এই বলে বিদায় নিচ্ছি যে, একদিকে বাইরের খ্যাতি, সম্মান প্রতিপত্তি লাভ করছি, অন্যদিকে... ...আমার সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং ভবিষ্যৎকে চূর্ণ করে দিচ্ছে। আমার শিক্ষা জীবনের ওপর এতবড় আঘাত আর আসে নি, তাই বোধহয় এত নিষ্ঠুর মনে হচ্ছে এই স্বাভাবিকতাকে, তাই সমস্ত শিরা—শিরার রক্তে রক্তে ধ্বনিত হচ্ছে প্রতিবাদ! চিঠির উত্তর দিস।২৫ ইতি—
[২৭শে চৈত্র ১৩৪৮]