পাতা:সুকুমার রায় রচনাবলী-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি অর্থাৎ শ্রীগোবিন্দ এমনি পড়ার যম পড়াশুনো নয়কো আমার কারুর চেয়ে কম। কতকটা এই দেখেশিখে কতক পড়েশুনে আর) কতক হয়তো স্বাভাবিক প্রতিভারই গুণে। উন্নতিটা করছি যেমন আশ্চর্য তা ভারি নিজের মুখে সব কথা তার বলতে কি আর পারি? বলে গেছেন চণ্ডীপতি কিংবা অন্য কেউ “আকাশ জুড়ে মেঘের বাসা সাগরভরা ঢেউ জীবনটাও তেমনি ঠাসা কেবল বিনা কাজে যেদিক দিয়ে খরচ করি সেই খরচই বাজে।” আমি অর্থাৎ শ্রীগোবিন্দ চলতে ফিরতে শুতে জীবনটাকে হাঁকাই নেকো মনের রথে জুতে। হাইড্রোজেনের দুই বাবাজি অক্সিজেনের এক নৃত্য করেন গলাগলি কাণ্ডখানা দেখ আহাদেতে একসা হয়ে গলে হলেন জল এই সুযোগে সুবোধ শিশু “শ্রীগোবিন্দ” ব। [ অসমাপ্ত ]


মহাভারত


‘রাজমাতা কভু নাহি হবে সত্যবতী, ‘তেই এ বিবাহ-কথা অনুচিত অতি। ভগ্ন মনে হস্তিনায় ফিরিল শান্তনু অনাহারে অনিদ্রায় জীর্ণ তার তনু। ভীষ্ম কুরুকুলে পিতামহ ভীষ্মমহাশয় ভুবন বিজয়ী বীর শুন পরিচয় শান্তনু রাজার পুত্র নাম সত্যব্রত জগতে সার্থক নাম সত্যে অনুরত। স্বয়ং জননী গঙ্গা বর দিল তারে নিজ ইচ্ছ। বিনা বীর না মরে সংসারে। বুদ্ধিভ্রংশ ঘটে যায় শান্তনু রাজার বিবাহের লাগি বুড়া করে আবদার মৎস্য রাজকন্যা আছে নামে সত্যবতী তারে দেখি শান্তনুর লুপ্ত হল মতি। মৎস্যরাজ কহে, 'রাজা, কর অবধান‘কিসের আশায় কহ করি কন্যাদান? ‘সত্যব্রত জ্যেষ্ঠ সেই রাজ্য অধিকারী, আমার নাতিরা হবে তার আজ্ঞাকারী, মন্ত্রিমুখে সত্যব্রত শুনি সব কথা মৎস্যরাজপুরে গিয়া কহিল বারতা “রাজ্যে মম সাধ নাহি, করি অঙ্গীকার ‘জন্মিলে তোমার নাতি রাজ্য হবে তার। রাজা কহে, ‘সাধু তুমি, সত্য তব বাণী, ‘তোমার সন্তান হতে তবু ভয় মানি। কে জানে ভবিষ্যকথা, দৈবগতিধারা‘প্রতিবাদী হয় যদি রাজ্যলাভে তারা? সত্যব্রত কহে, “শুন প্রতিজ্ঞা আমার, বংশ না রহিবে মম পৃথিবী মাঝার। সুকুমার সমগ্র মারঞ্জী।