জাম্ববান। আজ্ঞে ঠিক কথা রাঘব বোয়াল যবে লভে অবসর বিশ্রামের তরে—তখনি তো মাথা তুলি চ্যাং পুটি যত করে মহা আস্ফালন। বাহিরে গোলমাল রাম। এত গোলমাল কিসের হে ? সমগ্রীব। রাবণ ইদিকে আসছে না তো ? জাম্বববান ও বিভীষণ। আ—িরাবণ আসছে –उषा ? বিভীষণ। আমার ছাতাটা কোথায় গেল ? ব্যাগটা ? জাম্ববান। হ্যাঁরে তোর গায়ে জোর আছে ? আমায় কাঁধে নিতে পারবি ? জাম্ববোনের বিভীষণের কাঁধে চাপিবার চেষ্টা ও দতের প্রবেশ দত। শ্রীমান লক্ষণ আসছেন। সকলে আশবঙ্গত রাম। এত হল্লা করে আসছে কেন ? চোঁচাতে বারণ কর । দত। আজ্ঞে, তিনি আসছেন ঠিক নয়— তবে হ্যাঁ, একরকম আসছেনই বটে—মানে তাঁকে নিয়ে আসছে। জাববোন। লোকটার কান মলে তাড়িয়ে দাও তো—ব্যাটা হেয়ালি পাকাবার আর জায়গা পায় নি! লক্ষমঙ্গকে ধবাধাঁর করিয়া সকলের প্রবেশ ও গান বললেন যাহা জাববোন (সাবাস গণৎকার হে) আনপোবিক ঘটল তাহা শনতে চমৎকার হে । পড়লেন লক্ষণ শক্তিশেলে (যেন) ঝড়ে কলাগাছ রে— খাবি খেতে লাগলেন যেন ডাঙায় বোয়াল মাছ রে! অনেক কন্টে রইল বেচে—(আহা) কপাল জোরে মৈল না— 乳、乳和ーやS (ওরে) সবগ হৈতে কিচ্ছ তব পাপবটি £श्ळा ना ! ভাগ্যে মোরা সবাই সেথা ছিলাম উপস্থিত Շ5Ոতা নৈলে তো ঘটত আজি হিতে বিপরীত গো ! রাম। হায়, হায়, হায়, হায়—হায় কি হল, হায় কি হল, হায় কি হল, হায় হায় হায়— রামের মছা বানরগণ। হায়-হায়-হায়-হায়-হায়-হায়, হায়হায়-হায়-হায়-হায়-হায়, হায় কি হল-হলহল-হল, হায় কি হল-হল-হল-হল-হল (ইত্যাদি)। বানরগণের মাঝেমাঝে কলভিক্ষণ জাববোন। এতগুলো লোক কি সেখানে ঘোড়ার ঘাস কাটছিল নাকি ? সমগ্রীব। হনুমান ব্যাটা কি কচ্ছিল ? হনুমান। আমি বাতাসা খাচ্ছিলাম। সমগ্রীব। ব্যাটা, তুমি বাতাসা খাওয়ার আর সময় পাও নি ? সমগ্রীবের গান শোন রে ওরে হনুমান হও রে ব্যাটা সাবধান আগে হতে পাট বলে রাখি। তুই ব্যাটা জানোয়ার নিজকমার অবতার কাজে কমে দিস বড় ফাঁকি ॥ কাজ কম ছেড়ে ছাড়ে ঘমোস খালি পড়ে পড়ে অকাতরে নাকে দিয়ে তৈল— শোন রে, আদেশ মোর এই দণ্ডে আজি তোর অজট আনা জরিমানা হৈল। হনুমান। (স্বগত) মোটে আট আনা ? বিভীষণ । তারপর, তোমাদের মতলব কি সিথর হল ? সংগ্রীব। এইবার সবাই মিলে রাবণ ব্যাটাকে ২৪১
পাতা:সুকুমার রায় রচনাবলী-প্রথম খণ্ড.djvu/২৪৬
অবয়ব