পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বড়দাদা কহিলেন, “হ্যারে, নানা কাজে আসা ঘটে ওঠে নি। সুরেশ কোথায় রে ?” শশী কহিল, “কোথায় বেরিয়েছেন।” বড়দাদা কহিল, “কখন ফিরুবে বলতে পারিস ?” শশী কহিল, “তা ত বলতে পারি না বড়দা ।” বড়দাদা কহিল, “তাই ত, আমি ত বেশী দেৱী করতে পারব না। তার কাছে একটু দরকার ছিল।” তারপর একটু থামিয়া আবার বলিল, “না, তা এমন কিছু না, তুই কোথায় নেমন্তন্নে যাবি বলে সুরেশ তোর বউদিদিদির কাছ থেকে হারছড়া চেয়ে এনেছিল, সেই হারটা যে একবার চাই।” বড়দাদার কথায় শশী আড়ষ্ট হইয়া গেল, তাহার বুকের মধ্যে কেমন করিয়া উঠিল। কি সৰ্ব্বনাশ! কোথায় নিমন্ত্রণ, আর কোথায় বা তাহার বউদিদির হার । তাহার স্বামী যে মিথ্যা কথা বলিয়া হারছড়াটি আনিয়াছেন, তাহা ভাবিয়া লজ্জা ও ভয়ে সে অন্তরের মধ্যে শিহরিয়া উঠিল। যদি হারছড়া তিনি নষ্ট করিয়া থাকেন, তবে কি সৰ্ব্বনাশ হইবে । কিন্তু স্বামী না আসা অবধি তাহাকে ত কোন রকমে এ বিষয়ে ঢাকিয়া লইতে হইবে। তাই যথাসম্ভব মনের চাঞ্চল্য গোপন করিয়া সে বড়দাদাকে কহিল, “তিনি ফিরে এলেই আমি পাঠিয়ে দেব’খন বড়দা ।” বড়দাদা চলিয়া যাইবার পর সে মনে মনে স্থির করিল, যদি তাহার স্বামী হারছড়া নষ্ট করিয়াই থাকেন, তাহা হইলে তাহার", 8