পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুকুমার WAYY MAM অন্য একজন যুবতী অমনই গর্জন করিয়া উঠিল, “পিসিমার যেমন কথা, আমরা আর কি একালের মেয়ে নাই, আমরাও আর লেখা পড়া শিখিনি, একালের মেয়ে হ’লেই কি সবাই ঐ রকমই হয়ে থাকে। যার যেমন স্বভাব ।” মায়ার অপরাধ, তাহার স্বামীর ব্যাধির প্রথম হইতে শেষ অবধি সে স্বামীর শিয়রে ঠায় বসিয়াছিল, কেহ তাহাকে উঠাইতে পারে মাই। লজ্জানস্র বধুটির মত অন্য এক ঘরের জানালার গরাদে ধরিয়া আকাশপানে চাহিয়া দাড়াইয়া দাড়াইয়া সে অন্তরে দগ্ধ না হইয়া, বা চোরের মত এ-দরজা, সে-দরজার ফাক দিয়া উকি মারিয়া জন্মের শোধ তাহার স্বামীকে লুকাইয়া না দেখিয়া কেন সে অমনি লজ্জাহীনার মত পাঁচজনের সামনে স্বামীর শিয়রে বসিয়া বসিয়া তাহার মাথায় কম্পিত হাতখানি বুলাইয়া দিয়াছিল, এইটাই তাহার গুরুতর অপরাধ। আর কাহারও স্বামীর কি কোন দিন এমন অসুখ হয় নাই! মায়ার স্বামী মরিয়া গেলেন। সকলে হাহাকার করিয়া কঁাদিয়া উঠিল। কিন্তু মায়া কঁাদিল না, পাষাণ-প্ৰতিমার মত স্তব্ধ হইয়া বসিয়া রহিল ! মায়ার শ্বশুর গোড়া হিন্দু। তঁহারই আদেশক্রমে তাহার বৃদ্ধ ভগিনী আসিয়া মায়ার হাত হইতে চুড়ি কয়গাছি ও নোহাটী খুলিয়া লইলেন, সিখীর সিঁদুর মুছইয়া দিয়া স্নান করাইয়া থান ফাড়িয়া পরাইয়া দিলেন। তবুও সে কঁাদিল না। বৃদ্ধার সর্বাঙ্গ O O