পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধবা ... -"Wh নরেশ হাসিয়া কহিল, “খুলেই দেখ না, তা হ’লেই বুঝতে পারবে।” মায় তাহার কম্পিত হন্তে বইখানি লইয়া খুলিয়া দেখিল, পরিষ্কার ঝরঝরে অক্ষরে তাহারই নাম লেখা। তাহার নীচে নরেশের নাম। নরেশ তাহাকে এই বইখানি উপহার দিয়াছে। মায়ার সমস্ত শরীরটা জ্বালা করিয়া উঠিল। নরেশ বই উপহার দিবার কে ? যে হাতে সে বইখানি ধরিয়াছিল, তাহার মনে হইল, সে হাতটীতে কে যেন তপ্ত লৌহশিলাকা বিদ্ধ করিয়া দিল। তাহার ইচ্ছা হইতে লাগিল বইখানি কুটকুটি করিয়া ছিড়িয়া রাস্তায় ফেলিয়া দেয়। এমন সময় পরেশবাবু চিঠি লেখা শেষ করিয়া মায়ার দিকে ফিরিয়া কহিলেন, “দেখি মা, নরেশ তোমার জন্যে কি বই এনেচে ?” মায়া যেন রক্ষা পাইল। পিতার হাতে বইখানি তুলিয়া দিল। এ-পাত সে-পাতা উল্টাইয়া দেখিয়া তিনি কহিলেন, “বেশ বই।” এই বলিয়া তিনি মায়াকে বইখানি ফিরাইয়া দিলেন। ( ) ক্ৰমে ক্রমে নরশের প্রতি পরেশবাবু ভারি আকৃষ্ট হইয়া পড়িলেন। তিনি মনে মনে তাহাকেই তাহার বিধবা কন্যার ভাবী স্বামী স্থির করিয়া অনেকটা সুস্থ হইলেন। নরেশও নানাপ্রকারে পরেশবাবুর মন যোগাইয়া চলিতে δο Σ