পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রহিল। তাহার জীবনে এই আজ প্ৰথম সে তাহার দাদাব নিকট তিরস্কৃত হইল। পূর্বে সে অনেক অন্যায় কাজ করিয়াছে, কিন্তু একদিনের জন্যও সে তাহার দাদার নিকট কটু কথা শে{ানে নাই। আজ হঠাৎ তাহার সেই দাদা কেন সে তাহাকে কটু কথা বলিল, তাহা সে কিছুতেই ধারণা করিতে পারিল না। এমন সময় গঙ্গাধর বাবু সেখানে আসিয়া রুক্ষম্বরে কতিলেন, “জোছনা, তোর ব্যাপারখানা কি বল দিকি, যাবি কি না যাবি সোজা এক কথা বলে দে ?” জ্যোৎস্না কঁাদকাদ হইয়া কহিল, “তোমার পারে পড়ি মামাবাব। দাদাকে ফেলে যে ও না, তাকে সঙ্গে করে নিয়ে চল ; ৭ মামাবাবু, তোমার দুখানি পায়ে পড়ি মামাবাব।” সুকুমার ধমকাইয়া উঠিল, “ফের জ্যাঠামি।” গঙ্গাধর বাবু আমনই বলিয়া উঠিলেন, “তাই ত, জ্যাঠা মিই তাঁ। উনি এয়েছেন ওঁর দাদার ওপর কত্তাত্বি করতে, আচ্ছা জ্যাঠা মেয়ে যা’হক, নে, আর কঁদতে হ’লে না, চল ।” এই বলিয়া তিনি জ্যোৎস্নার হাত ধরিয়া টানিতে টানিতে লইয়া গেলেন। জোৎস্না কঁদিতে কঁাদিতে গাড়ীতে গিয়া উঠিল। সুকুমার গাড়ীর পাশে দাড়াইয়া কহিল, “জোছনা, কঁাদিস নি, আমি তোকে রোজ দুবেলা দেখে আস্ব।” জোৎস্না কাপড়ে মুখ ঢাকিয়? আরও ফোপাইয়া ফোপাইয়া কঁদিতে লাগিল। গাড়ী ছাড়িয়া দিল। সুকুমার গাড়ীর দিকে চাহিয়া স্তব্ধ হইয়া খানিকক্ষণ সেইখানে R