পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুত্রবধু “ত আমি কি করে বলব। আমি তার ওখানে যেয়ে উঠতে পারিনি।” সুষম ব্যগ্ৰ হইয়া বলিয়া উঠিল, “সে কি, তাকে একবার দেখতেও যাওনি! তুমি না দেখলে, তাকে দেখবে কে ? তার আর কে আছে ? এখনও সেই পুরাণে কথা মনে ক’রে আছ ना कि ?” কিরণ একটু উষ্ণ হইয়া বলিল, “যতদিন বেঁচে থাকব। সে কথা কিছুতেই ভুলতে পারব না। মিথ্যে কথায় বিশ্বাস ক’রে আমাকে কিনা ধাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিলেন। তখন ভাবেননি তঁর ও একদিন অসময় আসতে পারে।” সুষম স্তব্ধ হইয়া রহিল, কিছু বলিতে পারিল না। তার পর নিজেকে একটু সামলাইয়া লইয়া ধীরে ধীরে কহিল, “এখন যে ” র্তার আর কেউ নেই, তুমিই যে তার সব, তোমাকে কাছে পেলে তিনি এ শোকের মধ্যেও যে একটু সান্তুনা পেতে পারেন।” কিরণ অন্যমনস্ক ভাবে কহিল, “তা আমি কি কবৃব।” সুষমা যেন কি বলিতে গিয়া থামিয়া গেল। কিরণেব এ অবহেলা, এ তাচ্ছিল্য তাহার হৃদয়ে গিয়া দারুণ বিঁধিল । পিতা যদি একটা ভুলই করিয়া থাকেন-এর চেয়ে মানুষের জীবনে আর কি অসময় আসিতে পারে-পুত্র কিনা সেই সামান্ত অভিমানের বশে পিতার এই দুঃসময়েও হৃদয়ের প্রকৃতি-পেলাব বৃত্তিগুলিকে দলিয়া পিষিয়া এমনি কঠিন কঠোর হইয়া উঠিয়াছে। V)