পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুকুমার আর গালাগালি সহ হ’ল না। সারাদিন এই খাটুনি, তার ওপর কেবলই গালাগালি, কত সহ হয় বল দিকি ?” শশিমুখী অন্তরে বেদন অনুভব কারিয়া সহানুভূতির স্বরে কহিল, “তা সত্যিই ত, এই হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খাটিয়ে নিয়ে । আহ্মার গালাগালি! তাদের শরীরে মায়া। দয়া নেই বাপু)। ভালই হ’য়েছে, তোমার শরীরটা ক’দিন থেকে ভাল বোধ হচ্ছিল না, কদিন জিরিয়ে নাও, তারপর একটা কাজ দেখে নিলেই চলবে।” সুরেশ সঙ্ক্ষেপে কহিল, “ত বৈ কি।” বেল প্ৰায় একটা বাজিয়া গিয়াছে। শশীর অনেকক্ষণ রান্না হইয়া গেছে, সে ভাতের হাড়ীর সম্মুখে বসিয়া বসিয়া ক্লান্ত হইয়া পড়িয়াছে। সুরেশ তখন বাহিরের ঘরে কাহার সহিত এমন গল্পে মাতিয়াছে যে, আহারের কথা তাহার একেবারে মনেই নাই। তাহদের হাসির রব থাকিয়া থাকিয়া রান্না ঘরের মধ্যে গিয়া প্ৰবেশ করিতেছে। শশিমুখীর আর বসিয়া থাকিতে ভাল লাগিল না। উঠিয়া গিয়া বাহিরের ঘরের পর্দার অন্তরালে দাড়াইয়া অতি ন্তৰ্পণে পৰ্দা সরাইয়া একবার সে বাহিরের ঘরের মধ্যে দৃষ্টিপাত করিয়াই তাত টানিয়া লইল । একজনকে যেন তাহার চেনাচেনা ঠেকিল । তাহার বোধ হইল, তাহদের বাড়ীতে যে মুসলমান জেলেট মাঝে মাঝে মাছ বেচিতে আসিন্ত ঠিক সেই রকমের কে । z [সের একাধারে বসিয়া আছে, আর তাহার স্বামী । গুল্লার্দষ্ট কাধে হাত রাখিয়া দাড়াইয়া গল্প করিতেছেন।