পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুকুমার rAAAAvoy V"Yo সুরেশ আজ সর্বস্বান্ত হইয়া তাহার হারাণ টাকা উদ্ধার করিবার আয়োজনে বাহির হইতেছে, আর তাহার নিৰ্বোধি পত্নী এমনই করিয়া সব পণ্ড করিয়া দিবে। ইহা কিছুতেই হইতে পারে না ! সুরেশ বিরক্ত হইয়া কহিল, “কি কর, পা ছেড়ে দাও, মিছিমিছি। অসুখের কথা বলে আমার দেরী করে দিলে, তোমরা কাজের বেলায় কোন খোঁজ খবর রাখ না, কেবল বাধা দিতেই মজবুত।” শশী বাস্পরুদ্ধকণ্ঠে কহিল, “তুমি যাই বল না কেন, আমি কিছুতেই তেমোর পা ছাড়ব না, তোমায় যেতে দেব না।” বাহির হইতে জগাই যুগী আবার হাকিল, “ওহে সুরেশবাবু, ব্যাপারটি কি বল দিকি, না যাও সোজা বলে দাও, তোমার জন্যে আমাদেরও দিনটা মাটি হ’য়ে যাবে না কি ?” সুরেশ পাদপতিত পত্নীর বন্ধন হইতে নিজকে মুক্ত করিবার চেষ্টা করিয়া বিফলমনোরথ হইয়া অত্যন্ত রাগিয়া কহিল, “শীগগির পা ছেড়ে দাও, না হ’লে ভাল হ’বে না বলছি।” শশী কোন উত্তর করিল না, পাও ছাড়িল না। বরং আরও সবলে স্বামীর পা চাপিয়া ধরিয়া পায়ের উপর মাথা রাখিয়া কঁাদিতে লাগিল । বাহির হইতে হরে বোষ্টম চীৎকার করিয়া কহিল, “তা হ’লে আমরা চল্লাম হে সুরেশ, আর দেৱী করতে পারি না।”