পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৯৮ ) সুখ সম্ভোগেই নিয়ত রত থাকেন। পূজনীয় জনমা, কি সস্থধর্মিনী রনিভার ক্লেশ নিবারণ করা দূরে থাকুক, মাসন্তরেও একবার তাহাদিগের দুঃখের কথা স্মরণপথে আনেন না। “ব্যঞ্জন অধিক লবণাক্ত হইয়াছে, দুগ্ধ ঘনীভূত করা হয় নাই, অন্ন উষ্ণ নাই, আলোকধার পরিষ্কার হয় নাই, মশারিতে মশা প্রবেশ করিয়াছে, পানীয় জল শীতল হয় নাই," ইত্যাদি উপলক্ষ করিয়া অনেক পুৰুষ অন্তঃপুরবাসিনীদিগের প্রতি কৰ্কশবাক্য ও বিকৃত বিজাতীয় বদনভঙ্গ দ্বার অশেষ প্রকার বিভীষিকা দেখান | স্ত্রীরা যেন পাষাণময়ী, তাহাদিগের সমস্ত দিন সংসারকার্য নিৰ্ব্বাহ করিয়া শ্রদ অথবা আলস্য হয়, ইহা নিষ্ঠুর পুরুষদিগের মনে সংস্কার নাই। জননীর পীড়া হইয়াছে, পিতা মরণাপন্ন, পিত্রলয়ে যাইয় তাহাদিগের শুশ্রুয। করা কন্যার অবশ্য কৰ্ত্তব্য, অনেক মহাপুৰুষ স্বাণী হকিমি ফলাইয়া স্ত্রীকে পিত্ৰালয়ে যাইতে দেন না। স্ত্রীর প্রতি অত্যন্ত উপদ্রব করাতে অনেক পুরুষ পরে তাহার প্রতিফল ভোগ করেন, তথাপি র্তাহাদিগের চৈতন্য জন্মে না। স্ত্রীদিগের ইতিরত্তান্ত কমলযোনির নিকট এই রূপ সবিস্তর কহিব, তিনি তাহার প্রতিবিধান করিবেন ।