পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[७] পিতৃ-মাতৃ শ্ৰাদ্ধ করিয়া ধৰ্ম্মশাস্ত্রের মত মান্ত করা, যদিও এক্ষণকার ব্যক্তিবর্গের পক্ষে , অযৌক্তিক কাৰ্য্য জ্ঞান হয়, তথাপি তন্দ্বারা পিতামাতার প্রতি যে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা হয়, তাহা অনেক অধুনিক মহাশয়দিগের ধারণাতেই আইসে না। ইদানীং স্ত্রী-জাতিকে অনুচিত-প্রশ্রয়-প্রদান করা তাহাদিগের পরমব্রত, পূৰ্ব্বকালের ন্যায় কেহ আকস্মিক ঐশ্বৰ্য্যশালী হইতে পারেন না। এক্ষণে পূৰ্ব্ববং পরস্পরের মধ্যে পরম-পবিত্রবন্ধুতা নাই। কেহ কাহাকে উচ্চপদস্থ করিতে যত্নবান হয়েন না । বিলাতীয় মহাশয়েরা, পূৰ্ব্বে বঙ্গ-বাসীগণের প্রতি যেরূপ সদয় ছিলেন, এক্ষণে সেরূপ নাই। যুবারা, প্রাচীনদিগের নিকট ঔদ্ধত্য প্রকাশ করিতে লজ। বোধ করেন না । এক্ষণে অনেক বঙ্গীয় যুবা, যেমন ইংরাজদিগের নিকট বিদ্যা লাভ করিতেছেন তেমনই তৎ সঙ্গে সঙ্গে তাঙ্গদিগের দ্যায় অহংকারিতা, নির্লজ্জতা, অমমতা, রূঢ়তা, পান দোষিতা, বিলক্ষণ রূপে শিক্ষা পাইতেছেন। র্যাহার এইরূপ শিক্ষা পাইতেছেন, পশ্চিম দেশীয় হিন্দুরা, তাহদিগকে নিতান্ত অশ্রদ্ধা করেন । ইংরাজ ভাবাপন্ন বাঙ্গালী মহাশয়দিগের এত নীচ প্রবৃত্তি হইয়াছে যে তাহ দর্শন করিলে তাহাদিগকে আৰ্য-বংশোদ্ভব পূজনীয় বলিয়া গণনা করা যায় না। হায় ! যে জাতির রীতি, নীতি, কাৰ্য্য কলাপ দেখিয়া, সৰ্ব্ব দেশের লোক, তদনুকরণে ব্যগ্র হইতেন, এক্ষণে