পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[.: ) তথায় যেরূপ বহুসংখ্যক পুস্তক দেখিতে পাওয়া যায়, বঙ্গবাসী কোন মহাশয়ের গ্রন্থালয়ে সেরূপ দেখিতে পাওয়া যায় না । পূৰ্ব্বে গবর্ণমেণ্ট কালেক্টরীতে সামান্ত বেতনভূক্ কৰ্ম্মচারীরা, যে কোষাধ্যক্ষের কার্য্য নিৰ্ব্বাহ করিতেন, এক্ষণে সেই কার্য্য নিৰ্বাহাৰ্থ ডেপুটী কলেক্টর মহাশয়েরা নিযুক্ত হইয়াছেন। এক্ষণকার বিচার পতি ও ভূস্বামীরা অনেকে এতদূর ভ্রমাচ্ছন্ন যে র্তাহাদিগের বিচারালয়ের কিম্বা ভূম্যধিকারের সহিত যে যে ভদ্রজনের কোন সংস্রব না থাকে তাহাদিগের সহিত তাহারা বিচার-পতিত্ব ও ভূম্যধিকারিত্ব প্রকাশ করিতে সঙ্কুচিত বা লজ্জিত হয়েন না । আর এক অদ্ভূত বিবরণ শুনিয়া বিস্ময়াপন্ন হইবেন রাজা রাধাকান্তদেব বাহাদুর সংস্কৃত শাস্ত্রে যেরূপ পারদর্শী ছিলেন তাহা প্রায় কাহারও অবিদিত নাই । কলিকাতার কোন স্থল স্তম্ভ বিশিষ্ট প্রধান বিদ্যালয়ের শিক্ষকদিগের প্রতি অনেক কারণ বশতঃ দেব বাহাদুরের শ্রদ্ধা না থাকাতে এক্ষণে সেই মহামতি শিক্ষকগণ প্রচার করিয়া দিয়াছেন যে রাজা রাধাকান্তদেবের হিন্দুশাস্ত্রে যৎসামান্ত জ্ঞান ছিল। উক্ত শিক্ষক মহাশয়গঞ্জের ছাত্র ও অমুগত জনেরা ঐ প্রচা রকে সত্যজ্ঞান করিয়া কথাপ্রসঙ্গে সৰ্ব্বদাই বলিয়া থাকেন “রাধাকান্তদেব শাস্ত্রের কি জানিতেন ? তিনি একজন সামান্ত শাস্ত্রব্যবসায়ীর অনুরূপ ছিলেন না।” হায়! মূঢ়দিগের কি ভয়স্কর প্রলাপ !