পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २० ] পাঠক ও শ্রোতা । =0-o:S:oo প্যারীচরণ বাৰু আধুনিক প্রভূদিগের ইতিবৃত্ত সমাপ্ত করিলে, মুর সভাস্থ পবিত্র আত্মাদিগের অভিলাষানুসারে পরম পণ্ডিত চন্দ্রমোহন—পাঠক ও শ্রোতাদিগের সম্বন্ধে এই রূপ বলিতে প্রবৃত্ত হইলেন। মহাত্মন! আধুনা আমি বঙ্গদেশে যত পরিমাণে কুৎসিত রুচির পাঠক নয়ন গোচর করিয়া আসিয়াছি বোধ হয় অন্ত কোন দেশের কোন মহাত্মাই তত দর্শন করেন নাই। সেই মহানুভব পাঠক মহাশয়দিগের গুণের পরিচয় কি দিব তাহারা বাস্তবিক কিছুই জানেন না অথচ তাহারা না জানেন এমন শাস্ত্র নাই, না পড়েন এমন বিষয় নাই, না আস্বাদন করেন এমন রসই নাই এবং না বলেন এমন কথাই নাই। যেমন তর বেতর আধুনিক গ্রন্থ কর্তার উদয় হইতেছে এবং তর বেতর গ্রন্থ বাহির হইতেছে তেমনই সৰ্ব্বভূক সদৃশ অসংখ্য পাঠক মহাশয়ের সেই সকল গ্রন্থ অম্লান বদনে উদরসাৎ করিতেছেন। কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় এই কিছুতেই ক্ষুধার শান্তি হইতেছে না। তাহাদিগের সহায়তায় গ্রন্থকারগণের সম্মান রক্ষা হইয়া থাকে। পাঠকগণের গুণের প্রশ্রয়ে অনেকেই কবি বলিয়া অবিজ্ঞ সমাজে গণ্য হইয়া প্রাচীন কবি মহাশয়গণের পবিত্র নামে কলঙ্কার্পণ করিতেছেন। এই পাঠকগণের সহৃদয়তার কথা