পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ &8 J ১১৮ পৃষ্ঠা “পঞ্চবটী-বনে মোরা গোদাবরী-তটে ১১৯ পৃষ্ঠা ছিন্তু সুখে । হায়, সখি, কেমনে বর্ণিব সে কান্তার-কাস্তি আমি ? সতত স্বপনে শুনিতাম বন-বীণা বন-দেবী-করে ; সরসীর তীরে বসি, দেখিতাম কৰ্ভু সোর-কর-রাশি-বেশে সুর-বালা-কেলি পদ্মবনে ; কভু সাধবী ঋষি-বংশ-বধূ। সুহাসিনী আসিতেন দাসীর কুটীরে, সুধাংশুর আগু যেন অন্ধকার ধামে ! অজিন ( রঞ্জিত, আহা, কত শত রঙে ! ) পাতি বসিতাম কভু দীর্ঘ তরুমূলে । কৰ্ভু বা প্রভুর সহ ভ্ৰমিতাম সুখে নদীতটে ; দেখিতাম তরল সলিলে নূতন গগন যেন, নবতারাবলী, নব নিশাকান্ত-কান্তি ! কভু বা উঠিয়া পৰ্ব্বত-উপরে, সখি, বসিতাম আমি নাথের চরণ-তলে, ব্রততী যেমতি বিশাল রসাল মূলে ; কত যে আদরে তুষিতেন প্ৰভু মোরে, বরষি বচনসুধা, হায়, কব কারে ? কব বা কেমনে ? শুনেছি কৈলাস-পুরে কৈলাস-নিবাসী ব্যোমকেশ, স্বর্ণাসনে বসি গৌরী-সনে, আগম, পুরাণ, বেদ, পঞ্চ তন্ত্র কথা