পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| لابرا } প্রিয়তম প্রিয় পেয়ে, প্রতীচীর পানে চেয়ে, প্রাচী দিক্‌ কৌমুদীর, ছলে যেন হাসিছে । সতিনীর কাছে পতি, দেখিয়া দুঃখিত অতি, প্রতীচী তিমির শোক—নীরে যেন ভাসিছে। দেখ ঐ সুধাকর, প্রকাশিছে সুধা কর, দিগঙ্গনা দীপ জালি, যেন গৃহে রাখিছে। প্রদীপের পিছে তমঃ, এ দীপের অন্তক্রম, সন্মুখে তিমির রাশি, প্রতীচীরে ঢাকিছে। অৰ্দ্ধভাগে জ্যোতিঃ নাই, শোভা হীন শশী তাই, উজ্জ্বল অপর ভাগ, দুইরূপ হ’য়েছে। বুঝি বিয়োগীর শাপে, অৰ্দ্ধাঙ্গ বেরেছে পাপে, সংযোগীর বরে অৰ্দ্ধভাগে, কান্তি রয়েছে। বাবু নীলমণি বসাক, গদ্য রচনায় অতি প্রসিদ্ধ, ইহা পূৰ্ব্বে উল্লেখ করা হইয়াছে। তিনি পদ্য রচনাতেও বিশেষ পরিপক্ক ছিলেন। গ্রন্থান্তর হইতে অনুবাদ কিম্বা সঙ্কলন করিয়া যে পুস্তক প্রস্তুত করা হয়, তাহার রচনা প্রণালী দেখিলেই অনুভব হইতে থাকে, যে, সে পুস্তক, গ্রন্থাস্তর হইতে অনুবাদিত কিম্বা সঙ্কলিত হইয়াছে। কিন্তু বাবু নীলমণি বসাক কি এক চমৎকার প্রণালীতে পারস্য ভাষা হইতে পারস্য উপন্যাস বঙ্গ ভাষায় অনুবাদ করিয়াছেন, যে তাহা দেখিলে অনুবাদ বোধ হয় না ; বোধ হয় যেন তিনি পারস্য উপন্যাসের আদি রচয়িতা, তাহার ললিত রচনা, এইরূপ ভাবগর্ভ।