পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( * २ ) কালীপ্রসন্ন সিংহ সংস্কৃত হইতে বঙ্গভাষায় অনুবাদ করাইয়াছেন । ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের যত্বে বঙ্গভাষা অতি মনোহর মূৰ্ত্তিধারণ করিয়াছে । বিলাত হইতে নানা প্রকার, পাড়ি_দার বস্ত্র আনীত হইয়। সিালে শান্তিপুর ও লালবাগানের তন্তুবায়দিগের মুখমণ্ডল মলিন করিয়াছে। যাত্রার পরিবর্তে নাটক অভিনয় হইতেছে। হেমীয়প্যাথ ডাক্তরের, বে-মালুম গোছের ঔষধ দিয়া মহত্ব মহতু রোগের শান্তি করিতেছেন। তারিণীচরণ বসু, তথা দুর্গাচরণ লাহ, অতুল ঐশ্বর্ঘ্যের অধিপতি হইয়াছেন। লাহাবাৰু বাঙ্গালার বিদ্যোন্নতির নিমিত্ত পঞ্চাশ সহস্র মুদ্র অর্পণ করিয়াছেন। পাথুরিয়াঘাটার খেলচন্দ্র ঘোষের ভবনে একটা সনাতন ধৰ্ম্মরক্ষিণী সভা হইয়াছে ; তাহার উদ্দেশ্য উৎকৃষ্ট হইবার আশা ছিল, কিন্তু সভ্য মহাশয়েরা ধৰ্ম্ম বিষয়ের আন্দোলন ব্যতীত, অন্যবিধ আন্দোলনে প্রবৃত্ত হইয়াছেম । এক্ষণে পঞ্চান্ন বৎসর বয়ঃক্রম অতিবাহিত করিলে, অণর কাহারও গবর্ণমেন্টর কার্যে থাকিবীর বিধি নাই । দুর্ভাগ্য কেরাণীগণের বেতন সংপ্রতি বৃদ্ধি হইয়া, কেহ কেহ সাত অtটশত টাকা পৰ্য্যন্ত মাসিক পাইতেছেন। মাতলায় নগর সংস্থাপনের অভিপ্রায়ে শ্বেতপুৰুষেরা যত্ব পাইয়া সে দিকে রেল চালাইয়াছেন । কিন্তু তথায় নগর হওয়া দূরে থাকুক, রামগতি মুখোপাধ্যায় উছার কার্য্যাধ্যক্ষ মা হুইলে, এত দিনে সেই রেল অস্ত-লাভ করিত ।