পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| Syd ) আমারদিগের জানা আছে।” প্রিন্স কহিলেন “সে যাহা হউক আপনার দিগকে বঙ্গের নারী গণের সম্বন্ধ তত্ত্বের কথা আমাকে কিছু বলিতে হইবে।” “একান্তই শুনিবার ইচ্ছা, অতএব শ্রবণ করুন” এই বলিয়া প্রভাবতী নীলকান্তমণি রচিত আসনে উপবিষ্ট হইয়া বলিতে আরম্ভ করিলেন। পুত্রের প্রতি মাতার ব্যবহার। দেখিয়াছি পূৰ্ব্বে পুত্রকে নিমেষের নিমিত্ত চক্ষের অন্তরালে রাখিয়া মাতা সুস্থির থাকিতে পারিতেন না, এক্ষণকার অনেক মাতা পুত্র প্রসব করিয়া তাহাকে স্বয়ং লালন পালন না করিয়া আপন প্রাচীন মাতা শ্বশ্র অথবা কুটুম্ব বনিতার প্রতি প্রায়ই সেই কার্য্যের ভার অর্পণ কবেন, তিনি যখন মাত হইয়া পুত্রের প্রতি ঐরূপ মায়। শূন্ত কার্য্য করেন তখন পিতা মাতা ভ্রাতা তাহার নিকট কোন প্রত্যাশাই করিতে পারেন না । পুত্র প্রবাসে অধ্যয়ন কিম্বা ধনোপার্জন করিতে যাইলে, তাহার অবস্থান, ভোজন ও শয়ন কিরূপে হইতেছে, তাহার সমাচার আসিতে বিলম্ব হইতেছে কারণ কি ? পূৰ্ব্বকালে মাতারা সৰ্ব্বদাই এই সকল চিন্তা করিতেন। এক্ষণকার মায়াশূন্ত মাতাদিগের অস্তঃকরণে সে সকল চিন্তা আর স্থান পায় না । সমীপে বসিয়া সযত্নে সন্তানকে আহার করান, কিম্বা, শয়ন করিলে নিদ্রাকর্ষণ করাইতে কৰ্ণ মূলে মৃদ্ধ করাঘাত করা, এক্ষণে মাতার কার্য্য না হইয়া পরিচারিকার কর্তব্য কাৰ্য্য হইয়াছে ; পুত্র স্থানান্তর যাইলে