পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১২৩ ] শ্রমের সাধ্য নাই, অৰ্দ্ধক্রোশ দূরে কার্য্যালয়ে যাইতে চরণ চলে না ; উপজীবিকার একাংশ যান বাহককে দিয়া কাৰ্য্যালয়ে যাইতে হয়, বয়োধিকদিগের ন্যায় আহার করিতে অপারক, যদি করেন, তাহা জীর্ণ করিতে পারেন না। বয়োধিকদিগের অপেক্ষ বীৰ্য্যশালী মনে করেন ; কিন্তু ইহঁার প্রায় কেহই অরোগী নহেন। সেই হেতু নিতান্ত নির্বাৰ্য্য ও সৰ্ব্বপ্রকার মুখ ভোগে বঞ্চিত। দেশীয় বয়োধিক অধ্যাপক ও ভূস্বামীদিগের প্রাচীন কৰ্ম্মচাবি গণ এত ক্ষুধা তৃষ্ণা ও কষ্ট সহ্য করিতে সক্ষম যে, গ্রীষ্মের মধ্যাহ্নকালে যখন যুবারা ক্ষুৎপিপাসায় কাতর হইয়া বাক্য স্ফৰ্ত্তি করিতে পারেন না ও গৃহে বসিয়া শ্বাস প্রশ্বাস ত্যাগ করিতেও দারুণ ক্লেশ জ্ঞান করেন, অধ্যাপক প্রভৃতি প্রাচীনেরা তখন এক বৃহৎ গুরুভার ছত্র মস্তকোপরি ধারণ পূৰ্ব্বক হস্তে প্রকাও যষ্টি ও স্ত,পাকার বস্ত্র কক্ষে তিন চারি ক্রোশ পথ পরিভ্রমণের পর নিবাসে আসিয়া স্বহস্তে অন্ন ব্যঞ্জন প্রস্তুত করিয়া আহার করেন ; দৃকপাত নাই । গুরুজনকে অবহেলা করা ও মনস্তাপ দেওয়া এক্ষণকার অনেক যুবা ব্যক্তির নিত্য কৰ্ম্ম হইয়াছে। কিঞ্চিম্মাত্র ক্লেশ সহ্য করিবার ভয়ে ও সামান্ত স্বচ্ছন্দ ভোগের অনুরোধে ইহঁার পিতা মাতাকে যথেষ্ট যন্ত্রণ দিতে কিছুমাত্র দ্বৈধ বোধ করেন না। ইদানীং ইহার যৌবন মদে মত্ত হইয়া শারীরিক নিয়ম ভঙ্গ করেন, সেই হেতু ইহঁাদিগের মধ্যে নিরস্তর অকাল মৃত্যু বিচরণ করে—ইহঁারাই অনেক নবীনা বনিতা ও শিশু সন্তানের স্বচ্ছন্দের পথে কণ্টক দিয়া প্রাণত্যাগ করেন।