পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ >२t | চিনিতে পারেন না, কেহ কেহ ছল করিয়া কহেন “আমি আপনাকে যেন কোথায় দেখিয়াছি বোধ হইতেছে, কিন্তু কোথায় দেখিয়াছি, বিশেষ স্মরণ হইতেছে না।” হা কি অকৃতজ্ঞ ঘৃণিত প্রবৃত্তি! অসঙ্গতি জন্ত যাহার পিতা বিদ্যালয়ের বেতন দিতে পারেন.নাই, সেই জন্য যে ব্যক্তি র্তাহার বেতন দিয়া পড়াইয়াছেন, তাহাকেও অনেক যুব, মান্ত করা দূরে থাকুক, গ্রাহাও করেন না। এরূপ যুবারা আপনারা আপনাদিগকে যতই সন্ত্রান্ত ও যতই উৎকৃষ্ট মনে করুন, আমি তাহাদিগকে অৰ্ব্বাচীন ও অদুরদর্শী ভাবিয়া এক্ষণে আর কিছু অধিক বলিলাম না। -** বিঘ্নতত্ত্ব। এক্ষণে বঙ্গবাসীরা যেমন অনেক দিকে নিৰ্ব্বিল্প হইয়াছেন, সেই সঙ্গে সঙ্গে অন্ত অন্ত দিক হইতে বিঘ্ন নানা মূর্তি ধারণ পূৰ্ব্বক ভীষণ বদন ব্যাদান করিয়া তাহাদিগকে গ্রাস করিতে আসিতেছে। ইদানীং অবিরল শস্য ও প্রাণহস্তা ঝটিকা হইয়া থাকে, ংক্রামক জ্বরে অসংখ্য লোক জীর্ণ শীর্ণ ও অকৰ্ম্মণ্য হইয়। যায়, প্রভূর অনুগ্রহ এক্ষণে সিন্ধুগত রত্বের স্তায় দুষ্প্রাপ্য হইয়াছে, কৰ্ম্মচারীদিগকে ভগ্নশীল কাচের স্তায় নিজ নিজ সম্মানকে একান্ত সতর্কে রক্ষা করিতে হয়। জনসমাজে থাকিয়া পূৰ্ব্বে যেমন জনগণের সাহায্য ও সমবেদনার প্রত্যাশা করা যাইত,