পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ :७8 ] মনুষ্যমাত্রেই ঘৃণা করেন। সদাশয় বলিয়া মনুষ্যকে লোকে যে মুখ্যাতি করিয়া থাকেন, ভারিত্বাভিমানীরা সে সুখ্যাতি লাভের অধিকারী নহেন, তাহাদিগকে সকলেই নীচাশয় বলে। । নীচাশয় নাম লইয়। র্তাহারা কি সুথে যে ধরাতলে প্রাণ ধারণ করিয়া থাকেন বলা যায় না তবে অধীন জনের নিকট কিঞ্চিৎ ভারিত্ব প্রকাশ না কুরিলে তাহারা ভয় পায় না, ও কার্য্য সুচাররূপে নিৰ্বাহ করে না, সেই হেতু দিবারাত্রি তাহাদিগের নিকট ঐরূপ কুৎসিৎ बृंहरति মূৰ্ত্তি ধারণ করা উচিত নহে ; সময়ে সময়ে প্রফুল্ল বদনে অধীনদিগের মঙ্গলামঙ্গলের সমাচার লইতে হয়। এক্ষ কার কদৰ্য্য ভারিত্বাবলম্বিদিগের সে সকল বিবেচনা না থাকায় তাহাদিগকে নিতান্ত নরাধম বলিয়া লোকে গণ্য করিয়া থাকেন। ভারত্বাভিমানীর বিবরণ অতি কৌতুকাবহু, উর্হাদিগের মুখাবলোকন করিলে অন্তঃকরণ বিষন্ন হয় সন্দেহ নাই ; উর্হারা সদয়চিত্তে হাস্ত কৌতুক না করিলে ভিন্দিপাল প্রহার করা উচিত, ইহা আমাকে জষ্টিশ মিত্র বাবু জনাস্তিকে বলিয়াছেন। প্রেমৰ্চাদ তর্কবাগীশ, বাবু প্রসন্নকুমার ঠাকুর, চন্দ্রমোহন সিদ্ধান্ত ও বাবু রামগোপাল ঘোষ প্রভৃতি মহাশয়গণের আত্মা সুরসভার দ্বিতীয় অধিবেশনে বঙ্গদেশের বর্তমান বিবরণ উল্লেখ করিলে, শ্রবণান্তে সভাপতি প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর মহাত্মার অন্তঃকরণে যেরূপ ভাবের উদয় হইল, তাহা এক্ষণে এইরূপে তিনি ব্যক্ত করিতে আরম্ভ করিলেন । -