পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৩৬ } শিক্ষক ও ছাত্রগণ পরম পণ্ডিত রাজা রাধাকান্তকে যৎসামান্ত জ্ঞানাপন্ন বলেন এবং ইয়োরোপীয় দিগের নিকট স্বজাতির নিন্দ করেন এ সমস্তই অসহ্য । প্রাচীন কৰ্ম্মচারীরা কার্য্যে অশক্ত হইলে অনেক প্ৰভু এক্ষণে তাহাদিগকে কাৰ্য্যচ্যুত করেন অথচ আর তাহারদিগের প্রতিপালনে মনোযোগী হয়েন না । কৰ্ম্মচারী কঠিন পীড়ায় পীড়িত হইলে ও ভূরা তাহাদিগের প্রতি ক্ৰক্ষেপ করেন না । এক্ষণকার লোবুের ভাগ্য মন্দ না হইলে প্রভুরা চির-কিঙ্করের প্রতি আজ কাল নিতান্ত নিষ্ঠ র হইবেন কেন ? অসময়ে অসুস্থ অনাহারী অধীন কৰ্ম্মচারীকে অনেক প্রভু দুর্গম স্থানে প্রেরণ করেন ও মধ্যে মধ্যে আদ্যোপান্ত মিথ্য সাক্ষ্য দিতে তাহাদিগকে অনুরোধ করিয়া থাকৈন। পিতা পিতৃব্য জ্যেষ্ঠ সহোদর প্রভৃতির উপর অনেক কৃর্তী প্রভুত্ব করেন ইত্যাদি সকলই শোচনীয় ব্যাপার। যাহাতে ইতর শব্দাবলী ও ব্যভিচার দোষের আন্দোলন আছে, সেই সকল কুৎসিত গ্রন্থ পাঠে অনেকের রুচি হইয়াছে। ভাগ্য মন্দ না হইলে সমস্ত বিঘ্নদায়িনী বাসনায় আধুনিক মনুষ্যের মন ধাবমান হয় কেন ? ঘবন বালকদ্বয়ের সম্বন্ধে যে আখ্যায়িকা শুনিলাম, সেই রূপ অনেক শ্রোতা মাইকেলের পদাবলী শুনিয়া ভাবে নিমগ্ন হয়েন। ইহা নিতান্ত কৌতুকাবহ ! বিচারালয়ের অনুচিত ভাষা রহিতের কোন উপায় হইতেছে না। ইহা ব্যবস্থাপক সভার মহৎ অনবধানতা।