পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ بيان لا ] তাহা শত মুখ হইলেও প্রশংসা করিয়া শেষ করা যায় না। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে এক্ষণকার কবিতার যে যে দোষ তাহা তিনিই প্রথমে প্রচলিত করিয়াছেন, সেই সকল দোম ইতিপূৰ্ব্বে বেদান্তবাগীশ উল্লেখ করিয়াছেন, আমিও তাঁহ ংক্ষেপে বলিতেছি,—এক্ষণে ইংরাজী শিক্ষিত খঞ্জনী ভায়ার নিৰ্দ্দোষ কবিতা লিখেন না, কবিতা সম্বন্ধে তাহারদিগের রুচিই অপ্রশংসনীয় ; তাহারা যে সকল ছন্দ মনোনীত করেন, তাছ। সুত ব্যি নহে, তাহারদিগের কবিতা যতি-বর্জিত, সাধু, অসাধু, প্লামা, ও দেশান্তরীয় ভাষাতে বিমিশ্ৰিত ; কৰ্ত্তা কৰ্ম্ম ক্রিম স্থান ভ্ৰষ্ট করিয়া তাহার কবিতা রচনা করেন ; মদাপিও কবিতাতে কৰ্ত্ত কৰ্ম্ম ক্রিয়া স্থান ভ্ৰষ্ট করিবার রীতি -আছে, কিন্তু ইংরাজি শিক্ষিত খঞ্জনী ভায়ারা যেরূপ ইংরাজি প্রণালীতে কর্তা কৰ্ম্ম ক্রিয়া স্থান ভ্ৰষ্ট করেন, বঙ্গ ভামার কবিতায় সে প্রণালী অবলম্বন করিলে কবিতা কুৎসিত হয়, তাহারদিগের রচনায় ব্যাকরণ সে কোথায় থাকে, তাহার নির্ণয় করা যায় না, তাহার কেহই অলঙ্কারের প্রতি দৃষ্টি রাপিয়া কবিতা লিখিতে পারেন না, অলঙ্কার বিরুদ্ধ কবিতা কখনই মনুষ্যের মনোরঞ্জন করিবার উপযুক্ত হয় না। রঙ্গুলাল, বিহারিলাল, হেমচন্দ্র, নীলমণি প্রভৃতির কবিতা সম্বন্ধে তর্কভূষণ মহাশয় ও বেদান্তবাগীশ যাহা উল্লেখ করিয়া ছেন, তাহা আমার একান্ত অনুমোদনীয়। শাস্ত্র সম্বন্ধে যাহা শুনিলাম, তাহা অন্তঃকরণের সহিত গ্রাহ্য না করিয়া নিবৃত্ত হইতে পারিলাম না। স্থলতঃ সংস্কৃত