পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| S8 e ] শূন্ত হইয়া বিষম বিড়ম্বনায় নিপতিত হইতেন না। অনেক ভ্রাতার, ভ্রাতার সহিত প্রণয় রহিত হইয়াছে, পূৰ্ব্বকালেও ভ্রাতৃ-কলহ ছিল, কিন্তু একালের ন্যায় তাহ প্রত্যেক পরি বারে প্রবল ভাবে ছিল না । ভগিনীর প্রতি এক্ষণকার অনেকের অণুমাত্র স্নেহ নাই। পিতৃব্য মহাশয়ের অনেকে ভ্রাতৃ-পুত্রের প্রক্তি পরম শক্ৰতাচরণ করেন। ভ্রাতৃ-পুত্র পিতৃবাকে যে সে একজন বলিয়া অবহেলা করেন। স্ত্রীকে হিতোপদেশ না দিয়া স্বামী নিৰ্ব্বোধ স্ত্রীর বশীভূত হইয়া আত্মীয় জনের সহিতও অনুচিত ব্যবহার করেন। জামাত। শ্বশুরের সর্বস্ব গ্রহণ করিয়া ও সন্তোষ হয়েন না। শিক্ষা, দীক্ষা ও বয়োজ্যেষ্ঠ গুরুকে এক্ষণকার অনেক মহাপুরুষ তৃণ তুল্য জ্ঞান করেন। অতঃপর বঙ্গে মাতৃস্নেহ নিতান্ত দুৰ্ব্বল হুইয়াছে ; প্রভাবতীর নিকট শুনিয়া বিস্ময়াপন্ন হইলাম। ভগিনী কখন ভগিনীর মুখমণ্ডল দর্শন, কখন তাহার সঙ্গে মধুৱালাপ করিবেন, এই আশয়ে দিন যাপন করিতেন ; এক্ষণে ভগিনী অন্ত ভগিনীকে যত্ন সহকারে দর্শন করেন না। আপনার বসন ভূষণ পান ভোজন উৎকৃষ্ট হইলেই হইল, স্বামীর প্রকৃত সেবাতে এক্ষণকার অনেক স্ত্রী নিযুক্ত থাকিতে ইচ্ছুক নহেন। কন্যাকে কখন দেখিব কত দিনে তাহাকে জামাতার গৃহ হইতে আনিয়া অঙ্কে উপবেশন করাইব এই সকল স্নেহ সুচক চিন্তায় আর একালের অনেক জননী অভিভূত হয়েন না ; কত কষ্ট স্বীকার করিয়া মাতা কন্যাকে প্রতিপালন করিয়াছিলেন, কতই স্নেহ করিয়াছিলেন, এই মনে