পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১৬ ) ইংরাজীর প্রাচুর্ভাব হুইয়া বঙ্গীয় পুৰুষের প্রায় সকলেই স্বজাতীয় ভাব বিসর্জন দিয়াছেন । কেবল র্যtছর ইংরাজী শিক্ষা পাইয়াছেন এমন নহে, ইংরাজীতে অনভিজ্ঞ প্রাচীন দিগকেও ইংরাজী ভাব, সংক্রামক রোগের ন্যায় আক্রমণ করিয়াছে এবং তাহাদিগেরও হিন্দু ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ জন্মাইয়া দিয়াছে । কিন্তু সকলে বলেন, বোধ হয়, কালে ঐরূপ থাকিবে না। কেননা, ইংরাজদিগের অনুকরণ করিয়া বঙ্গবাসীরা যে যে কাৰ্য্য প্রথম প্রথম সযত্বে অবলম্বন করিতে ব্যগ্র হয়েন কিছু দিন পরে ব্যগ্রতার পরিবর্ভে তৎপ্রতি র্তাহাদিগের বিলক্ষণ দ্বেষ জন্মে। মহাত্মা দেখিয়া আসিয়াছিলেন, ইংরাজ দিগের প্রদর্শিত খৃষ্টধৰ্ম্ম, প্রথম প্রথম কত বঙ্গযুবা অবলম্বন করিয়৷ ছিলেন ও অবলম্বন করিতে উৎসাহী ছিলেন। এক্ষণে আর বাঙ্গালিরা খৃষ্টধর্মের নামও মুখে আনেন না । ইংরাজ সাধারণেই আপনাদিগকে সত্যবাদী ঘোষণা করিতেন, ইংরাজ মাত্রেই সত্যবাদী বলিয়। প্রথম প্রথম বাঙ্গালি দিগের ছদ্র প্রত্যয় হইয়াছিল ; কিছু দিন পরে তাহ আবার তিরোহিত হইয়া গিয়াছে । ইংরাজ দিগের পরিচ্ছদ, নেত্ররঞ্জন বলিয় তাহারা প্রচার করায় অনেক ব্যক্তি প্রথম প্রথম তাহ ধারণ করিয়াছিলেন । এক্ষণে তাহ বাঙ্গালির পরিধেয় কিনা এই লইয়া অনেকে বিচার করিতেছেন । ইংরাজের খাদ্য উৎকৃষ্ট ভাবিয়া অনেক বাঙ্গালি প্রথম প্রথম তাহা গ্রহণ করিয়া ছিলেন ; অধুনা তাহা পীড়াদায়ক ও দেহুনাশক ৰলিয়া অনেকের প্রতীতি হই