পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৩১ ) বঙ্কিম গ্রীব হইলে যেরূপ সুন্দর দেখায়, আপনার তাছ অনুভব করিয়া লইবেন। আবার কোন স্ত্রীলোকের সৌন্দর্ঘ্য বর্ণন করিতে “মুহুমুহু আকুঞ্চন বিস্ফারণ প্ররক্ত রন্ধ যুক্ত সুগঠন নাসা" লেখা হইয়াছে, ইহা নিতান্ত অস্বাভাবিক, পীড়িতাবস্থায় কোন কোন ব্যক্তির নাসা আকুঞ্চন ও বিস্ফারণ হইতে দেখা যায় এবং তৎকালে মুখমণ্ডল কদাকার হয় ; আর কেহ কেহ বলেন, কোন কোন জন্তুর ঐরূপ হইয়া থাকে। অতএব বোপ হয়, আকুঞ্চন ও বিস্ফারণ এই দুইটা শব্দ ব্যবহারের নিতান্ত ইচ্ছা হওয়াতে লেখক তাহা কষ্ট শ্রেষ্ঠে এক স্থানে সংলগ্ন করিয়া দিয়াছেন । - - “জনাল জ্বলিতেছে;” তদৰ্থে জানাল ভেদ করিয়া আলোক আসিতেছে, বুঝিতে হইবে । “ছাপুস হাপুস করিয়া ভাত খাইতে আরম্ভ করেন,” লেখা হইয়াছে। ইহাতে শব্দের অনুকরণ কতদূর সঙ্গত হইয়াছে, সকলেই অনায়াসে বুঝিতে পরিবেন। “স্তিমিত প্রদীপে”এই শিরোভূষণের প্রস্তাব পড়িতে পড়িতে চিত্ৰপট বর্ণনার ঘটা দেখিয়া মনে হয়, যেন আমরা বাল্যকালে বিদ্যালয়ে যাইতে যাইতে এক এক পয়সা দিয়া পটলডাঙ্গার দীঘির ধারে সহর-বিল দেখিতেছি। প্রদর্শক ঘন্টা বাদন করিয়া আমাদিগকে তাহ দেখাইতেছে। এস্থলে লেখক, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সীতার বনবাসের আলেখ্য দর্শনের অনুকরণ করিতে গিয়া তদ্বিষয়ে সফল না হইয়া হাস্যাম্পদ হইয়াছেন।